স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, পাঠদান, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মাদরাসার স্থাপনের জন্য এলাকাভেদে দূরত্ব, জমির পরিমাণ ও ব্যক্তির নামে নামকরণের জন্য নির্দিষ্ট ফি বেধে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাঠদানের অনুমতির জন্য মাদরাসার ভবন, তহবিল ও পঠাগার সংক্রান্ত শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। আর স্বীকৃতির জন্য এলাকাভেদে শিক্ষার্থী সংখ্যা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতি শ্রেণিতে পাস করতে বলে শর্ত দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগের যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ও বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রকাশ করে।
প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির শর্তাবলিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ স্বীকৃতি থাকতে হবে। এ নীতিমালার পরিশিষ্ট-ক, খ ও গ প্রদত্ত শর্ত পূরণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত থাকতে হবে।
অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটি থাকতে হবে। ট্রাস্ট-সংস্থা পরিচালিত কোনো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে এমপিওভুক্তির জন্য ট্রাস্ট-সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে আবেদন দাখিল করতে হবে।
এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে অনুদানভুক্ত ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। এমপিওভুক্তির শর্তপূরণ কোনো প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে না। সরকারের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।
নীতিমালায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপনের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্রর্কে বলা হয়েছে, এ নীতিমালায় উল্লিখিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপনের শর্ত (পরিশিষ্ট-ক) পূরণ সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-উদ্যোক্তা-ট্রাস্ট স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমোদন ব্যতিত কোনো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন বা চালু করা যাবে না। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদারাসা স্থাপন বা চালু করার আগে উদ্যোক্তাকে ৩০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বর্ণিত ন্যূনতম চাহিদা ও শর্ত পূরণ করার অঙ্গীকার প্রদান করে আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ নির্ধারিত ফি জমা প্রদানপূর্বক বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে: আবেদনকারী একক ব্যক্তি হলে তার-একাধিক ব্যক্তি হলে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত স্থানের মৌজা, খতিয়ান-পর্চা, দাগ নম্বর এবং জমির পরিমাণ উল্লেখপূর্বক প্রস্তাবিত স্থানের খতিয়ানের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানের চতুর্দিকে বিদ্যমান ইবতেদায়ি প্রতিষ্ঠানসগুলোর দূরত্বের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দেয়া দূরত্বের সনদ সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আবেদনের সাথে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত জনসংখ্যার সনদ দাখিল করতে হবে।
ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচিতি উল্লেখপূর্বক একটি সংক্ষিপ্তসার পৃথকভাবে আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান স্থাপনের যৌক্তিকতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাখিল করতে হবে। আবেদনের সাথে সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য ৫ হাজার টাকা, শহর-পৌর এলাকার জন্য ৩ হাজার টাকা এবং মফস্বল এলাকার জন্য ২ হাজার টাকা ফি বাবদ সরকারি কোষাগারে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদানপূর্বক জমাদানের রশিদ আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
নীতিমালা দেখতে ক্লিক করুন
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।