মার্কশিট-প্রশংসাপত্রের দাম ১৪০০ টাকা! | বিবিধ নিউজ

মার্কশিট-প্রশংসাপত্রের দাম ১৪০০ টাকা!

করুনা মোকামিয়া কামিল মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র আটকিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

#মাদরাসা #শিক্ষক #শিক্ষার্থী

বরগুনার বেতাগী উপজেলার করুনা মোকামিয়া কামিল মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র আটকিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই মাদরাসা থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে কামিল পাস করা শিক্ষার্থী ইব্রাহীম খলিল গত বৃহস্পতিবার নিজের নম্বরপত্র এবং সনদপত্র সংগ্রহ করতে গেলে অফিস সহকারী শামীম ৭০০ টাকা রেখে নম্বরপত্র কাগজ দেয়।

এ বিষয়ে ইব্রাহীম বলেন, সনদপত্র ও নম্বরপত্রের জন্য ১৪০০ টাকা দিতে বলে। আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কাগজ দিতে অস্বীকৃতি জানান অফিস সহকারী শামীম। পরে ৭০০ টাকা দিলে শুধু নম্বরপত্র দেয়। আমি টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিতে পেরে একটা রশিদ লিখে ধরিয়ে দেয়। উন্নয়ন ফান্ডে ৭০০ টাকা জমা লিখে দেয়। আমি এমনিতেই গরিব। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা আনছি। কিন্তু তারা এত টাকা নিবে জানা ছিল না।

শুধু ইব্রাহীম নয় সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও প্রতিকার থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি স্বীকার করে করুনা মোকামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আবুল বাশার জানান, মার্কশিট আর সার্টিফিকেট বিতরণে কোনটায় কত টাকা রাখে তা খেয়াল নেই। আজকে ৭০০ টাকা রেখেছে তা জানি না। আমি দাখিল পরীক্ষার হলে ডিউটিতে ছিলাম। আর গভর্নিং বডি সিদ্ধান্ত নিলে টাকা নিতে পারে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানি না। আমি নতুন এসেছি। সম্পূর্ণ তথ্য অফিস সহকারীর কাছ থেকে জেনে বলতে পারবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তারা এক টাকাও দিবে না। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

#মাদরাসা #শিক্ষক #শিক্ষার্থী