সালমা খাতুন। ছবি : সংগৃহীত
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে জাল নিবন্ধন সনদে চাকরি পাওয়া নন ক্যাডার প্রভাষক সালমা খাতুনসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে মামলা দায়েরসহ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে অধ্যক্ষকে পুনরায় চিঠি দিয়েছে মাউশি।
সোমবার (২৩ জুন) মাউশি থেকে এই চিঠি অধ্যক্ষের কাছে এ চিঠি দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কলেজের ভূগোল বিষয়ের প্রভাষক পদে সালমা খাতুন, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রাশেদুজ্জামান ও মুকুল কুমার কুন্ডু ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে নিয়োগ পান।
এর তিন বছর পর মন্ত্রণালয়ের অডিটে তাদের নিবন্ধন সনদ জাল ধরা পড়ে। এতে শাস্তি থেকে বাঁচতে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন এই তিন শিক্ষক। তাদের মধ্যে সালমা খাতুন পুনরায় ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জানুয়ারি মাসে আরেকটি নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি নেন। কলেজটি সরকারি হওয়ায় বর্তমানে সালমা খাতুন সরকারি নন ক্যাডার প্রভাষক হিসেবে বেতন ভোগ করছেন।
এদিকে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে অডিটের পর থেকে একাধিকবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সালমা খাতুনসহ অন্য তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইনে মামলা দায়ের করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বর্তমান অধ্যক্ষের কাছে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চায় মাউশি। তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু চিঠি দেয়া নেয়ার মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখা হয়।
সম্প্রতি সালমা খাতুন অধ্যক্ষসহ মাউশির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চাকরি বাচাতে তৎপর হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল লতিফ বলেন, ওইসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে গত বছর মাউশির চিঠির জবাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই জবাব পায়নি। তাই পুনরায় জবাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। যথা সময়ের মধ্যে জবাব দেয়া হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।