সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ভর্তি কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি, মেডিক্যালের দ্বিতীয় মাইগ্রেশনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন বলেন, মেডিক্যাল ভর্তি নিয়ে আজকে আমাদের একটি সভা রয়েছে। সভায় একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়েও আলোচনা হবে। তবে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নেবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের বিষয়ে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজকেই দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৭৭ জনের বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে ৫ হাজার ৩৮০ পরীক্ষার্থী ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ১৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধার কোটায় ও ৩৪৮ জন পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ভর্তি আবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাধারণ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৪টি। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেন ৫৯ হাজার ৫৫৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি মেডিক্যালে ভর্তির জন্য মেধার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭২ জন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের ৫ শতাংশ বা ২৬৯ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৬৮৬ জন। তাদের মধ্যে পাস করেন ১৯৩ জন। পাস নম্বর অর্থাৎ ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর তুলেতে পারেননি ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৭৭ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
ফলাফলের তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী (পার্বত্য জেলার উপজাতীয় এবং অউপজাতীয় প্রার্থী, অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থী) কোটায় দশমিক ৭২ শতাংশ বা ৩৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ১ হাজার ২০১ জন। পাস করেন ৩৪৮ জন। অর্থাৎ প্রতি ৯ জনে একজন ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৬০ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।