নতুন বাজেটে আর্থিক প্রণোদনা হ্রাসের কারণে দেশের মোবাইল ফোনসেট সংযোজন ও উৎপাদকারীরা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বর্ধিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এর সম্মুখীন হতে পারেন। এতে সাধারণ ক্রেতা পর্যায়ে বাড়তে পারে মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সারফেস-মাউন্ট প্রযুক্তি (এসএমটি) ও সাধারণ সংযোজক প্রতিষ্ঠানসমূহের ভ্যাটের হার বর্তমান ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে।
একইভাবে পাওয়ার সার্কিট বোর্ড (পিসিবি), এসএমটি, ব্যাটারি চার্জার এবং সাধারণ মোবাইল ফোন সংযোজক প্রতিষ্ঠানসমূহ ৭.৫ শতাংশ ভ্যাটের সম্মুখীন হবে, যা বিদ্যমান ভ্যাটের চেয়ে ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সংশোধিত হারগুলি দুই বছরের জন্য অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২৭ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ৩০ জুন, ২০১৯ এসআরও (নং ২২৯-আইইএন/২০১৯/১৫৫-ভ্যাট) এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (ইআরডি) কর্তৃক জারি করা একটি নীতিমালার অধীনে মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজক শিল্প পূর্বে ভ্যাট অব্যাহতি পেয়েছিল। স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ন্যূনতম সীমা অর্জনের শর্তসাপেক্ষে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
নীতিমালার অধীনে স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন সংযোজনকারী কোম্পানিগুলি যদি ৩০ শতাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা মূল্য সংযোজিত হয় তবে তা সম্পূর্ণ ভ্যাট অব্যাহতিযোগ্য ছিল।
সিকেডি/এসকেডি (Semi Knocked Down (SKD) or Completely Knocked Down (CKD) শর্তে আংশিকভাবে পূরণ করা ডিভাইস আমদানিকারী ও সংযোজকরা যদি নির্ধারিত স্থানীয় মূল্য সংযোজনের মানদণ্ড পূরণ করে তবে তারাও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পেত। দেশীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে ও আমদানি প্রতিস্থাপনকে সমর্থন ও এই খাতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বৃদ্ধির জন্য ৩০ জুন, ২০২৬ পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাড়িয়েছে সরকার।
মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (এমপিআইওএবি) সহ-সভাপতি রিজওয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমানে ১৭টি কোম্পানি স্থানীয়ভাবে হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও বিপণনে জড়িত। তাদের দেশীয় চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা রয়েছে। তবে অপর্যাপ্ত নজরদারি ও আমদানি বিধিমালার দুর্বল প্রয়োগের কারণে স্থানীয় বাজারে অননুমোদিত আমদানিকৃত ফোনের আধিপত্য রয়েছে।
‘৬০ শতাংশেরও বেশি বাজার গ্রে হ্যান্ডসেট দখলে নিয়েছে, স্থানীয়রা মাত্র ৪০ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে’ জানিয়ে এমপিআইওএবি সহ-সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। যা গ্রে বাজারের ডিভাইসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমাদের পিছেয়ে দেবে।’
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।