ইএফটিতে বেতন: জানুয়ারির দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে | স্কুল নিউজ

ইএফটিতে বেতন: জানুয়ারির দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) জানুয়ারির দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তাব ছাড়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।

#স্কুল #ইএফটি #শিক্ষক

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) জানুয়ারির দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তাব ছাড়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। এ ধাপে মোট ১৬ হাজার ৩৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অনুমোদনের পরে খুব দ্রুতই শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনের মেসেজ পাওয়া শুরু করবেন।

সূত্র জানিয়েছে, জানুয়ারির দ্বিতীয় ধাপে মোট ১৬ হাজার ৩৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ছাড় হয়েছে। তাদের মধ্যে স্কুলের ১২ হাজার ৪৭৭ জন ও কলেজের ৩ হাজার ৯০২ জন।

এর আগে, চলতি বছরের ৫ মার্চ জানুয়ারির প্রথম ধাপের এমপিও ছাড়ের মেসেজ পৌঁছানো শুরু হয়েছে। তার আগে গত ৩ মার্চ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে পৌঁছায়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্কুল- কলেজের মোট ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬১ শিক্ষক-কর্মচারীর জানুয়ারির এমপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে স্কুলের ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৪ জন ও কলেজের ৮০ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি (আংশিক-লট-১) মূল বেতনের ৬ শতাংশ অবসরভাতা তহবিলের চাঁদা বাবদ কর্তনকৃত ৪৮ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৭ টাকা ইএফটির মাধ্যমে ছাড় করা হয়েছে।

এছাড়া মূল বেতনের ৪ শতাংশ কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের চাঁদা বাবদ কর্তনকৃত ৩২ কোটি ২০ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৮ টাকা ইএফটির মাধ্যমে ছাড় করা হয়েছে। বেতন ও ভাতাদির সরকারি অংশ বাবদ ৮৪৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯০ টাকা ইএফটির মাধ্যমে দেয়ার জন্য মঞ্জুর করা হয়েছে।

তার আগে, সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে স্কুল- কলেজের মোট ৮৪ হাজার ৭৭৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে টাকা ছাড় হয়েছে। তাদের মধ্যে স্কুলের ৬৫ হাজার ৬৮৩ জন ও কলেজের ১৯ হাজার ৯৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

সরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ পদ্ধতিতে ছাড় হতো। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হতো। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জুটতো।

এই পরিস্থিতির উত্তরণে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন ছাড় হয়।

#স্কুল #ইএফটি #শিক্ষক