ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা | সরকারিকরণ নিউজ

ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি করার দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে রওয়া দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

#জাতীয়করণ #শিক্ষক

ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি করার দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে রওয়া দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

তারা ‘শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার পূর্বেই পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা চাচ্ছেন।

রোববার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তারা রওনা দেন।ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

এর আগে, এদিন দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতারা অংশ নেন, তারা নিজেদের নানা ‘বৈষম্যের’ কথা তুলে ধরেন।

আল আমিন নামে এক শিক্ষক বলেন, আমি ২৫ পার্সেন্ট উৎসব ভাতা চাই না, আমরা কোন পার্সেন্টিজ চাই না। আগামী ঈদুল আজহার আগেই ২৫ পার্সেন্ট ভাতার পরির্তন করে অনতিবিলম্বে শতভাগ উৎবভাতার ঘোষণা দিতে হবে। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বাড়িভাড়া এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাভাতা প্রদান করতে হবে।ঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাঘেরাও করতে শিক্ষা অধিদপ্তর অভিমুখে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

তাদের ‘মূল দাবি’ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে এই শিক্ষক বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে। দয়া করে সকল বৈষম্য ঘুচানোর লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিন। আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য ঘুচিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করুন।

২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও জাতীয়করণের দাবিতে টানা ২২ দিন প্রেসক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচির কথা মনে করিয়ে দিয়ে আল আমিন বলেন, কাফনের কাপড় যেহেতু গায়ে জড়িয়েছি হয় কারাবরণ, না হয় জাতীয়করণ অথবা মৃত্যুবরণ। তাছাড়া আমরা এই রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ৫৭ ভাগই এই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি আমি একই কারিকুলামে পড়াই, একই বইয়ে পাঠদান, একই প্রশ্নপত্রে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করি, ৫৭ ভাগ শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা দায়িত্ব পালন করি। তাহলে কেন সরকারি ও বেসরকারিতে এতো বৈষম্য?

এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২২ দিন ধরে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন গত মার্চ মাসের শুরুতে।

#জাতীয়করণ #শিক্ষক