নজিরবিহীন অবহেলা, অদক্ষতা ও নিষ্ঠুরতার শিকার সাড়ে তিনলাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের সরকারি সহকর্মীরা মার্চ মাসের বেতন ও উৎসব ভাতার টাকা পেয়েছেন ইতিমধ্যে। ইএফটি নামক জুজু দেখিয়ে আরো অনেকে ডিসেম্বর থেকে বেতন পাচ্ছেন না। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচুর প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি কর্তাদের। উপপরিচালক ব্যস্ত বদলি বাণিজ্যে। ইএমআইএসের জামিল ও জহির ব্যস্ত ঘুষে। অন্যন্যরা ব্যস্ত অহেতুক সেমিনার ও মিটিংয়ে। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম এর অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হলে শেষ সময়ে এসে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় একদিন অতিরিক্ত ব্যাংক খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের কর্তারা। তবে, এসব উদ্যোগ লোকদেখানো এবং নিষ্ঠুর শান্তনা হিসেবে অভিহিত করেছেন বেতন-ভাতা বঞ্চিত শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, রাষ্ট্রায়াত্ত চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে এমপিও শিক্ষকদের টাকা বন্টন হয়। অনেকের ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন-ভাতা আটকা।
জানা গেছে, শিক্ষা ক্যাডার পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারী মার্চের বেতন ও উৎসব ভাতা পাওয়ার জন্য আরো একদিন ব্যাংক খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ গত কয়েকদিন ধরে অবহেলা ও অদক্ষতায় সময় কেটেছে শুধু শুধু।
তবে, প্রশাসন ক্যাডার পরিচালিত মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন শিক্ষক-কর্মচারীরা তুলনামূলক কম হয়রানির শিকার। উৎসব ভাতার টাকা তারা তুলতে পেরেছেন অনেকেই।