বাজেট বরাদ্দের অভাবে ৮১ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য! | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দের অভাবে ৮১ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য!

‘মোট জিডিপির ৬ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ করতে হবে।’

#শিক্ষক #বাজেট #জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকমছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানারকম সংকট দূর করতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮১ শতাংশের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য।

তাই শিক্ষকদের যাবতীয় সংকট দূর করতে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের কোন বিকল্প নেই।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কেমন বাজেট চাই?’ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

এ ছাড়াও সভায় বিগত বাজেট নিয়ে পর্যালোচনা এবং আসন্ন বাজেট নিয়ে নানান প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন আলোচকরা।

শিক্ষা বাজেট নিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট সালমান সিদ্দিক বলেন, মোট জিডিপির ৬ ভাগ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখতে হবে।

প্রাক প্রাথমিক শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত সাত কলেজ নিয়ে সম্প্রতি ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ গঠিত হয়েছে।

এর জন্য নতুন অবকাঠামো তৈরি, শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য আসন্ন বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকার অস্থায়ী সরকার। এর স্থায়ী কোনো ম্যান্ডেট নেই। সুতরাং তার পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব না।

কিন্তু সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট হয়েছে। কিছু সংস্কারের প্রত্যাশা রয়েছে। কিছু করণীয় আছে। যেগুলো তারা খুব সহজেই করতে পারে।

যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রাথমিক এবং বহু বছরের দাবি। যা বর্তমানে মোট বাজেটের ৫-৬ ভাগ মাত্র। কিন্ত যা থাকা উচিত তা বরাদ্দ থাকে ১ থেকে ২ ভাগ।

বিশ্বের যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এ বিষয়ে সবার নিচে। এই অর্থবছরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ করে তারা জনগণের স্বার্থে সংস্কারের কিছু নমুনার সূচনা করতে পারে। পারে পরিমাণগত বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মানকেও বৃদ্ধি করতে।

বরাদ্দকৃত অর্থে অপ্রয়োজনীয় খরচ ও প্রকল্প, অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দুর্নীতি আছে। এগুলো দূর করতে হলে পূর্ণাঙ্গ বাজেট খরচের খাতসহ জনগণের সামনে উন্মুক্ত করতে হবে।

একটা সংস্কার খুব সহজ ছিলো যে প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টা প্রতিনিধি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সবার শিক্ষা ও চিকিৎসা পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বাধ্যতামূলক করা, তাহলেই পাবলিক শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের চেহারা বদলে যেতো।

বাজেটের আগে এই ধরণের ঘোষণা হলে বরাদ্দের গুণগত পরিবর্তন হওয়া খুবই সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারের আরেকটা কাজ হচ্ছে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি।

জাতীয় সক্ষমতার ভিত্তিতে একটি দেশকে অগ্রসর হতে হবে। বিগত সরকার বাহাদুরি করে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট কিনলো, এটি করে তো কোনো দেশ অগ্রসর হতে পারে না।

তার চাইতে এর একাংশ টাকা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞানে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের গবেষণায় ব্যয় করতো তাহলে জাতীয় সক্ষমতা নিশ্চিত হতো।

জ্বালানি বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু বলেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেটে আমদানিতে ব্যয় বেশি এবং দেশীয় গ্যাস উৎপাদনকে অবহেলা করা হয়েছে।

২০১৮ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ, চার বছর তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক #বাজেট #জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়