শিক্ষা অধিদপ্তরে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানে নতুন নির্দেশনা | স্কুল নিউজ

শিক্ষা অধিদপ্তরে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানে নতুন নির্দেশনা

‘যেকোনো ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা যাদের নিয়োগ দেয়া হয়, তারা দেখা যায় রিপোর্ট দেয়ার সময় ভিন্ন-ভিন্ন ফরম্যাট ব্যবহার করে। ফলে বুঝতে কষ্ট হয় এবং তাদের দেয়া ইন্সট্রাকশনগুলোও ক্লিয়ার ছিলো না।’

#মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর #শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান #কর্মচারী #শিক্ষক

শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভন্ন ধরনের অভিযোগ তদন্ত কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে নির্ধারিত ফরম্যাটে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তদন্ত কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দমতো ফরম্যাটে দেয়ায় প্রতিকারের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অস্পষ্টতা দেয়া যায়। তাই অধিদপ্তর নির্ধারিত ফরম্যাটে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য সব আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালক, সব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শওকত হোসেন মোল্যা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যেকোনো ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা যাদের নিয়োগ দেয়া হয়, তারা দেখা যায় রিপোর্ট দেয়ার সময় ভিন্ন-ভিন্ন ফরম্যাট ব্যবহার করে। ফলে বুঝতে কষ্ট হয় এবং তাদের দেয়া ইন্সট্রাকশনগুলোও ক্লিয়ার ছিলো না। সেক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাট দিয়ে দিলে ইন্সট্রাকশনগুলোও বুঝতে সুবিধা হয়। আশাকরি এই নির্দেশনা সবাই মেনে নির্ধারিত ফরম্যাটে প্রতিবেদন পাঠাবেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কতগুলো তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। কতগুলো প্রতিবেদন হয়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অধিদপ্তরের জারি করা চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও এর অধীনের দপ্তরগুলো থেকে পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রম শেষে তদন্ত কর্মকর্তারা থেকে প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দ মতো ফরম্যাট ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে তদন্ত কার্যক্রম ও এর প্রতিকার বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের অস্পষ্টতা দেখা যায়। এমতাবস্থায় এই চিঠি জারির পর থেকে দপ্তরগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের উপর ন্যস্ত করা তদন্ত কার্যক্রম শেষে প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে মাউশি থেকে নির্ধারিত তদন্ত ফরম্যাট ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

একইসঙ্গে নির্ধারিত ফরম্যাটে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির জন্য কাঠামোও নির্ধারণ করা হয়েছে। তাতে প্রতিবেদন শুরুতেই তদন্তের বিষয়, সূত্র, তদন্তের সময়-স্থান, তদন্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবিসহ পরিচয় লিখতে হবে। এরপর অভিযোগের প্রেক্ষাপট, তদন্ত পদ্ধতি (সরেজমিন বা মাউশি অফিসে), তদন্তকালে উপস্থিত ব্যক্তিদের তালিকা এবং অভিযোগগুলো পর্যায়ক্রমে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

এছাড়া প্রতিটি অভিযোগের জন্য আলাদা করে অভিযোগকারীর বক্তব্য, অভিযুক্তের বক্তব্য, সাক্ষীদের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও প্রমাণাদি তুলে ধরতে হবে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে পর্যালোচনা অংশে বিষয়টি বিধিসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এবং সর্বশেষ অংশে অভিযোগ প্রমাণিত কি না সেই বিষয়ে মতামত দিতে হবে। তবে, কোনো ধরনের শাস্তির সুপারিশ প্রতিবেদনে দেয়া যাবে না।

তদন্ত ফরম্যাটের সঙ্গে যুক্ত নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, তদন্তের আগে অভিযুক্তকে অভিযোগপত্র সরবরাহ করতে হবে এবং তদন্তকালে সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্য নিয়ে তাতে স্বাক্ষর রাখতে হবে। প্রতিবেদন দুই পৃষ্ঠার দুই পাশেই লিখতে বা প্রিন্ট করতে হবে এবং এর সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তার নিয়োগপত্র, অভিযোগপত্র, নোটিশ অনুলিপি, সাক্ষীদের লিখিত বক্তব্য, উপস্থিতির স্বাক্ষরপত্র, প্রমাণপত্রসহ সব তথ্য সংযুক্ত করতে হবে।

এছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের সময় পৃষ্ঠা নম্বর স্পষ্টভাবে লিখে দিতে হবে এবং তদন্তে দেরি হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তদন্ত প্রতিবেদন কোনো পক্ষকে সরবরাহ করা যাবে না, এটি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অধিদপ্তরের কাছে সংরক্ষিত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আদালতে ব্যবহারের জন্য আর্কাইভ সিস্টেমে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটিতে ন্যূনতম অভিযুক্তের সমপদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে নেতৃত্বে রাখতে হবে এবং কর্মকর্তাদের তদন্তে কোনো কর্মচারীকে সদস্য করা যাবে না। সাধারণত ১৫ কর্মদিবস সময় দিয়ে তদন্ত সম্পন্ন করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তদন্ত ফরম্যাট দেখতে ক্লিক করুন এখানে

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর #শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান #কর্মচারী #শিক্ষক