খুবির প্রথম উপাচার্যের সম্মানে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের নামকরণ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

খুবির প্রথম উপাচার্যের সম্মানে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের নামকরণ

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে প্রথম উপাচার্যের গোলাম রহমান বলেন, তোমাদের আন্দোলনে মহাবিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে।

#খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমানের সম্মানে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের নামকরণ হয়েছে। সম্প্রতি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২শ ৩০তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নতুন নামকরণের এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ‘প্রফেসর ড. গোলাম রহমান প্রশাসনিক ভবন’-এর নামফলক উন্মোচন করা হয়।

নামফলক উন্মোচন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ড. গোলাম রহমান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পথচলার নানা উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিন খোলা, আবাসিক হল ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা স্মরণ করেন।

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে প্রথম উপাচার্যের গোলাম রহমান বলেন, তোমাদের আন্দোলনে মহাবিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমি কখনো কিছু চাইনি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হোক- এটাই ছিল প্রত্যাশা। আজ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে সম্মান আমাকে দিলো, তাতে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ!

এসময় আরো বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

ড. রেজাউল করিম বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের নতুনভাবে পথচলা সুগম হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের নামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পথচলা ও উৎকর্ষ সাধনে প্রফেসর ড. গোলাম রহমানের অবদান চিরস্মরণীয়। এজন্য তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের নামকরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এই ভবন থেকেই সবকিছু পরিচালিত হতো। প্রথম উপাচার্য এখানেই অফিস করতেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন এই ভবনটি ছিল রেডিও সেন্টার। অনেক স্মৃতিময় এই ভবনটি। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে নতুন নাম অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন- ইংরেজি ডিসিপ্লিনের খালিদ মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় পরিচালকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক সভায় বক্তৃতা করেন।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন খোলা ও এর পথচলা ও উৎকর্ষের নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন।

গোলাম রহমান বলেন, দেশ গড়ার দায়িত্ব পরিকল্পনাবিদদের। তাদের বাদ দিয়ে দেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব না।

তিনি এ ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জীবন নিয়ে নানা পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন খোলা নিয়ে প্রফেসর ড. গোলাম রহমানের উদ্যোগ ও গৃহীত নানা পদক্ষেপ এবং তাদের দুইজনের স্মৃতিময় নানা উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউআরপি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. জাকির হোসেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

#খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয়