বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নতুন প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, ৬০ হাজার ৬৩৪ জন পাস করেছেন। ১১৩ জন প্রার্থী নতুন পাস করেছেন।
সোমবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সংশোধিত এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর ব্যবস্থাপনায় গত ১২ ও ১৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত লিখিত পরীক্ষায় ৮৩,৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। মৌখিক পরীক্ষা সমাপান্তে চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফলাফল ০৪ জুন ২০২৫ তারিখ অপরাহ্নে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
আরো পড়ুন: শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় নতুন করে পাস ১১৩, নানা প্রশ্ন
ফল প্রকাশের পর কিছু পরীক্ষার্থী উল্লেখ করেন প্রকাশিত ফলে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষার কোনো পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হননি। সে প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলের হার্ডকপি যাচাই করে প্রতীয়মান হয় যে, কারিগরি ত্রুটির কারণে ৪ জুন প্রকাশিত ফলে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফল অন্তর্ভুক্ত হয়নি। উল্লেখ্য, বিভিন্ন কারণে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত তারিখে যে সব পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে আবেদন করেছিলেন তাদের মৌখিক পরীক্ষা ২৩ গ্রহণ করা হয়েছিলো।
গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলের হার্ডকপি এবং ফলের সফট কপি যাচাই করে দেখা যায় যে, ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মোট ১১৩ (একশত তের) জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেপ্রেক্ষিতে, অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চুড়ান্ত ভাবে (৬০,৫২১+১১৩)= ৬০,৬৩৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এদিকে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা। একইসঙ্গে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে গত তিনদিন ধরে মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। গত ১৪ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
প্রার্থীরা জানান, যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। আমরা যারা ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ভাইভায় কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে। আবার অনেক বোর্ড আছে যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে, তিনজনকে পাস করানো হয়েছে। অনেক বোর্ড আছে ২৫ জনকে ফেল করানো হয়েছে ৫ জনকে পাস করানো হয়েছে। একই বোর্ডে এত ফেল করানোর যৌক্তিকতা যাচাই করে দেখা দরকার। বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।