এবারে ১৪৩২ বঙ্গাব্দের বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে জোর প্রস্তুতি চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারুকলা অনুষদে। বর্ণাঢ্য নববর্ষ শোভাযাত্রা ও দিনব্যাপী নানা আয়োজনের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে বৈশাখী মেলা।
বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো-প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাজানো হচ্ছে এবারের আয়োজন।
এবারের শোভাযাত্রার মূল থিম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতি। এ থিমকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গরুর গাড়ি, পাখি, পশু ও বিভিন্ন ফুলের প্রতিকৃতি তৈরির কাজে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসাইন বলেন, আমরা আমাদের বর্ষবরণের প্রস্তুতির প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছি। আশা করছি ১৪ তারিখের আগেই সবকিছু সম্পন্ন করতে পারবো।
থিম নির্বাচনের ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ষবরণ মূলত বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ। তাই এবারের আয়োজনে আমরা গ্রামীণ সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি, যেন নতুন প্রজন্ম দেশের শেকড়ের সঙ্গে নিজেদের আরো গভীরভাবে যুক্ত করতে পারে।
চারুকলা অনুষদের এবারের উদ্যোগ শুধু নববর্ষ উদযাপন নয়, বরং এটি বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে তুলে ধরার এক সাংস্কৃতিক প্রয়াস হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলায় থাকছে ৩০টি স্টল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বৈশাখী মেলার আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। এবারকার মেলায় বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় স্টল থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ৩০টা স্টলের আয়োজন করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত ২৭ টা স্টল নেওয়ার জন্য আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনের উপর মূলত স্টল সংখ্যা নির্ভর করছে। আশা করছি সময়ের মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।
বর্ষবরণ উদযাপনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়েই এবারের নববর্ষ পালন করব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের নববর্ষের বিশেষ চমক হিসেবে আমরা বৈশাখী মেলা আয়োজন করেছি।