মির্জা মাহমুদা
চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় ভুল সেটের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার দায়ে এবার কঠোর শাস্তি পাচ্ছেন নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা মাহমুদা। পরীক্ষা কেন্দ্রের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির পর এবার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্র ঢাকা-৯, নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ঢাকা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণকালে কয়েকটি কক্ষে প্রশ্নপত্রের নির্ধারিত সেটের পরিবর্তে অন্য সেটের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মাহমুদার দায়িত্বে চরম অবহেলা প্রমাণিত হয়। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন নিয়ে নয়ছয়, মাহমুদাকে অব্যাহতি
এমন পরিস্থিতিতে নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মাহমুদাকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ২৬ জুন প্রশ্নপত্র নিয়ে নয়ছয় করার দায়ে মির্জা মাহমুদাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। শিক্ষা বোর্ডের এই আকস্মিক পদক্ষেপ পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের কঠোর অবস্থানেরই ইঙ্গিত দেয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্র (বিষয় কোড- ১০১) পরীক্ষার দিন ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্র ঢাকা-৯, কেন্দ্র কোড- ৫১২, নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মির্জা মাহমুদা তার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন।
এদিকে অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় শিক্ষা বোর্ড তার ওপর আস্থা রেখেছে। আশা করা হচ্ছে, তিনি তার পূর্বসূরীর ত্রুটিগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন। এই পরিবর্তনের ফলে নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা যেনো কোনো ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন না হয়, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি।
শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রকাশিত চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই অব্যাহতি অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে বোর্ড একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, পরীক্ষার দায়িত্বে কোনো ধরনের শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেদিকেও সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ঘটনা অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে। দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের আরও বেশি সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে উৎসাহিত করবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।