দ্রুত সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ সম্পন্ন করার বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসি–সংক্রান্ত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে পিএসসির একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারের থেকে ৪৮তম বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদাপত্র এসেছে। এখন এই নিয়োগের বিষয়ে বিধি কিছুটা সংশোধন করার দরকার আছে। সেটি সাধারণত তিন মাস সময় লাগে।
অনেক মন্ত্রণালয়ের মতামতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই নিয়োগে সেটি না করে কম সময়ে নিয়োগ দিতে তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনিও মত দিয়ে দিয়েছেন বলে জেনেছি।
তিনি আরও জানান, মত পাওয়ার পরপরই বিধি সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। পিএসসির লক্ষ্য, জুন কিংবা জুলাইয়ের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পরীক্ষা গ্রহণ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। তার কথায়, ‘এ বিষয়ে সরকারের সরাসরি নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম এক মন্তব্যে জানান, সরকার যে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা বলেছে, সেটি অঘোষিতভাবে ৪৮তম বিসিএসের মাধ্যমেই হতে যাচ্ছে। ফলে এটি বিশেষ বিসিএস হিসেবে পরিচালিত হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে।
চিকিৎসকদের নিয়োগ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানান, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বয়সসীমা ৩২ বছর। এটি বাড়িয়ে ৩৪ বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে চিকিৎসকেরা নানা কারণে বঞ্চিত হয়েছেন। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে গত বুধবার চিকিৎসকেরা তাদের বেতন ও ভাতা নিয়ে ধর্মঘট করেছেন। বর্তমান সরকার তাদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
তবে, নতুন করে বিসিএস আয়োজনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগের বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেই নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে—এমন প্রশ্নে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, ৩৯তম ও ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সেগুলো আগের সরকারের সময় নেওয়া। এখন নতুন নিয়োগ দিতে হলে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। তাই নতুন বিসিএস আয়োজন করলেই সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।
সরকারি পক্ষের মতে, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে হলে ৪৮তম বিসিএসের মাধ্যমেই এই দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। পিএসসি ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছে।