বয়স ও সনদের মেয়াদ শিথিল করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সবাইকে তাদের কার্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীরা। আজ সোমবার বিকেলে এমন কাণ্ড ঘটান অনেক আগে সনদের মেয়াদ ও বয়স শেষ হওয়া শুধু প্রাকযোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। তাদের সনদ সরাসরি নিয়োগ সুপারিশের জন্য নয়, শুধু প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার। অথচ তারা আজ ১৬ জুন রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর কার্যালয়ের ভেতরে সবাইকে আটকে রেখেছেন।
বিকেল সাড়েচারটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় কোনো পুলিশ ছিলো না। রমনার পুলিশকে খবর দিলেও তারা আসেননি বলে অভিযোগ এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তার।
প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিবন্ধন সনদ পাওয়া কয়েকজন প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর থেকে এনটিআরসিএর নানা রকম দুর্নীতি, বৈষম্য, স্বজন-প্রীতি, দলীয়করণ, আইনের অপব্যবহার, মনগড়া নিয়মনীতি, ঘুষ বাণিজ্য ইত্যাদির জন্য আমরা ১-১২তম পরীক্ষায় উ্ততীর্ণরা আন্দোলন, সমাবেশ করেছি, বিভিন্ন স্থানে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, অধিকার বঞ্চিত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
তারা দাবি করেন, ২ লাখে সনদ ও ৬/৮ লাখে চাকরি প্রদান করে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছে বিগত সরকার। যেটা দেশের ভবিষ্য শিক্ষাব্যবস্থাকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রতি শূন্য পদের বিপরীতে যোগ্য শিক্ষক বাছাই করার কথা থাকলেও এনটিআরসিএ সেটা করেননি। তারা ইচ্ছেমত শিক্ষক পাস করিয়ে নিয়োগ না দিয়ে শূন্য পদ রেখে দুর্নীতি করেছে।
আন্দোলনকারীরা আরো দাবি করেন, এনটিআরসিএ এই পর্যন্ত ১৭/১৮টি পরীক্ষা গ্রহণ করেছে এবং তার বিপরীতে নিয়োগ সুপারিশ করেছে মাত্র ৫ বার (২০১৬, ২০১৮, ২০২০, ২০২২, এবং ২০২৪)। একমাত্র এনটিআরসিএর চাকরির জন্য দুইবার পরীক্ষা বা দুইবার আবেদন করতে হয়, দুইবার টাকা খরচ করতে হয়, যেটা খুবই হাস্যকর। যেমন প্রথমবার এমসিকিউ, রিটেন বা ভাইভা পাস করতে হয় এবং পরে আবার মেধা মতে আবেদন করতে হয় নিয়োগের জন্য।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।