গরমে হাঁসফাঁস: যে সময় বাইরে হাঁটতে গেলেই বিপদ | ফিচার নিউজ

গরমে হাঁসফাঁস: যে সময় বাইরে হাঁটতে গেলেই বিপদ

প্রচণ্ড তাপদাহে সারা দেশ হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। এই গরমের মধ্যেও অনেকে নিজেকে ফিট রাখতে হাঁটতে বের হন।

#শিক্ষক #শিক্ষার্থী #চিকিৎসা

প্রচণ্ড তাপদাহে সারা দেশ হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। এই গরমের মধ্যেও অনেকে নিজেকে ফিট রাখতে হাঁটতে বের হন। কিন্তু এই হাঁটাহাঁটি যদি ভুল সময়ে করা হয়, তা শরীরের উপকারের বদলে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই সময় একটু বেশি সচেতন থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।

বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের আরও বেশি সাবধান হতে হবে। এই গরমে ভুল সময় হেঁটে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন চিকিৎসকরা।

গরমে হাঁটার ঝুঁকি

চিকিৎসকদের মতে, গ্রীষ্মের সময় অতিরিক্ত রোদ, গরম বাতাস এবং উচ্চ আর্দ্রতা শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। এতে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড়ের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। দুপুরের দিকে এই সমস্যা আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।

কোন সময় হাঁটার জন্য নিরাপদ

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মে হাঁটার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে— সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা। এক সময় তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং বাতাসে দূষণও কম। ফলে শরীরচর্চা হয় আরামদায়ক ও উপকারী।

বিকেল ৫টার পর: সূর্যাস্তের পরে বাতাস ঠান্ডা হতে শুরু করে এবং রোদের তাপও কমে আসে, যা হাঁটার জন্য নিরাপদ সময়।

তবে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়টি একেবারে এড়িয়ে চলতে বলা হয়, কারণ এ সময় রোদ ও গরম সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে।

কতক্ষণ হাঁটবেন

যারা নতুনভাবে হাঁটা শুরু করছেন, তারা প্রথমে ১৫-২০ মিনিট করে হাঁটতে পারেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৩০-৪৫ মিনিট পর্যন্ত হাঁটলে শরীর ভালো থাকবে। অভ্যস্তরা চাইলে দিনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত হাঁটতে পারেন।

গরমে হাঁটার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

>> হাঁটার আগে ও পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

>> সুতির ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, যাতে শরীর ঘামলে আরামদায়ক থাকে।

>> ছায়াযুক্ত পথ বেছে নেওয়া ভালো, সরাসরি রোদে হাঁটা বিপজ্জনক।

>> দুর্বল লাগলে বা মাথা ঘোরার অনুভূতি হলে হাঁটা বন্ধ করুন এবং বিশ্রাম নিন।

নিয়মিত হাঁটা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, হৃদযন্ত্রকে করে সুস্থ, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে চাঙা রাখে। তাই গরমকালেও সময় ও পরিবেশ বুঝে হাঁটাহাঁটি করলে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যেই উপকার পাওয়া যায়। তবে যাদের পুরোনো কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারা অবশ্যই হাঁটার রুটিন শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

#শিক্ষক #শিক্ষার্থী #চিকিৎসা