ছেলেকে চড়, খেপে গিয়ে শিক্ষককে বেদম পেটালেন অভিভাবক | স্কুল নিউজ

ছেলেকে চড়, খেপে গিয়ে শিক্ষককে বেদম পেটালেন অভিভাবক

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে চড় মারার অভিযোগে এক শিক্ষককে বেদম পিটিয়েছেন তাঁর মা-বাবা। ওই শিক্ষককে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে যাওয়া অন্য শিক্ষকও তাঁদের রোষানলে পড়েন। উভয় শিক্ষক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

#প্রাথমিক বিদ্যালয় #চিকিৎসা #ভারত

বিহারের গয়া জেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে চড় মারার অভিযোগে এক শিক্ষককে বেদম পিটিয়েছেন তাঁর মা-বাবা। ওই শিক্ষককে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে যাওয়া অন্য শিক্ষকও তাঁদের রোষানলে পড়েন। উভয় শিক্ষক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ঘটনায় ওই অভিভাবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

আজ শনিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত স্কুলের শ্রেণিকক্ষে দুই ছাত্রের ঝগড়া থেকে। তাঁদের এক সহপাঠী বিষয়টি শিক্ষক রাকেশ রঞ্জন শ্রীবাস্তবকে জানায়। তিনি দ্রুত শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং দুই ছাত্রকেই চড় মারেন। দুজনে তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত হলেও তাদের একজন স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং বাড়ি গিয়ে মা-বাবার কাছে শিক্ষকের হাতে চড় খাওয়ার কথা জানায়।

কিছুক্ষণ পরেই ওই ছাত্রের মা-বাবা স্কুলে গিয়ে হইচই শুরু করেন এবং রাকেশ রঞ্জনকে খুঁজতে থাকেন। তাঁকে দেখতে পাওয়ার পর কোনো কথাবার্তা ছাড়াই তাঁকে তাঁরা চড় মারতে শুরু করেন। লাঠি দিয়েও ওই শিক্ষককে পেটানো হয়।

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ঘটনাটি থামাতে এগিয়ে আসা স্কুলের অন্য এক শিক্ষক ও কর্মচারীকেও পেটান ওই অভিভাবক। স্কুলের এক শিক্ষিকা রাকেশ রঞ্জনকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি তাঁরা।

ওই অভিভাবকের এমন কর্মকাণ্ডে স্কুলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। মারধরের ঘটনা দেখে স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা ভয়ে নিরাপদ জায়গায় লুকিয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপর গুরুতর আহত রাকেশ রঞ্জন ও আরেক শিক্ষক ধর্মেন্দ্র কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাকেশের হাতে ও কোমরে আঘাত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

পরে রাকেশের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে এবং তদন্ত শুরু করে।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ কুমার বলেন, ‘এটি কেবল একজন শিক্ষকের ওপর নয়, গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আঘাত। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

#প্রাথমিক বিদ্যালয় #চিকিৎসা #ভারত