ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংবিধানের দলত্যাগ-নিরোধ সংক্রান্ত ৭০ অনুচ্ছেদকে সংসদ সদস্যদের ‘নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন’ ভূমিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। রায়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় নেতৃত্ব যখন সাংসদদের আনুগত্যে আস্থাশীল হতে না পারায় সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৭০ সংযোজিত হয়েছে, তখন সেই সাংসদদের ওপর বিচারকদের বিচারের ভার দিতে বিচারকেরা কীভাবে আস্থা রাখবেন।
১ আগস্ট প্রকাশিত র্পূণাঙ্গ রায়ে আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির চারজন আলাদা আলাদা পর্যবেক্ষণে এই মত দিয়েছেন। সদ্য অবসরে যাওয়া বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। অপর দুজন বিচারপতি ৭০ অনুচ্ছেদের কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও সংসদের সামর্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে আপিল বিভাগের সব বিচারপতিই দেশের ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’কেও বিচারক ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুতর হুমকি বিবেচনা করেছেন।
জানতে চাইলে জাতীয় সংসদে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘পঞ্চাশের দশকের তিক্ত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বাহাত্তরের সংবিধানে এটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পঞ্চাশের দশকে সাংসদদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে সমর্থন আদায়ের সংস্কৃতি বা হর্স ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সকালে আবু হোসেন সরকার আর বিকেলে আতাউর রহমানের সরকার গঠনের অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল। তবে এখন ৭০ ধারার বিধান রাখা হবে কি হবে না বা কী করে সংশোধন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে একটা মতবিনিময় চলতে পারে।’
আপিলের শুনানির সময় নয়জন অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে একজন (আজমালুল হোসেন) বাদে বাকি আটজনই বিদ্যমান ৭০ অনুচ্ছেদের সমালোচনা করেছেন। সংসদ সদস্যদের শর্তহীন দলীয় আনুগত্য ও দলীয় সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে চলার বাধ্যবাধকতা ‘নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীনভাবে’ বাক ও ভোটাধিকার প্রয়োগের পথে মস্ত প্রতিবন্ধক হিসেবেও তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।
বাহাত্তরের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী শফিক আহমেদ উভয়ে ৭০ অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার পক্ষে মত দিয়েছেন। রায়ের পর শফিক আহমেদ বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের কারণে ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে। তিনি নিজের আইনজীবী জীবনের অভিজ্ঞতার বরাতে বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আদালত যা বলেছেন, তা যদিও পর্যবেক্ষণ হিসেবে রয়েছে, কিন্তু এর অপরিসীম গুরুত্বও রয়েছে। অনেক সময় একটি মামলার রায়ে দেওয়া একটি অভিমত অন্য মামলায় সিদ্ধান্তমূলক পয়েন্ট হিসেবে স্বীকৃত হয়। তিনি অবশ্য মনে করেন যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে সংসদেও বিল আকারে প্রস্তাব আসতে পারে। বিভিন্ন সময়ে মত এসেছে যে অনাস্থা প্রস্তাব, বাজেট, আন্তর্জাতিক চুক্তির মতো কয়েকটি বিষয় বাদে অন্য সব বিষয়ে অবাধ ভোটাভুটির ব্যবস্থা হতে পারে।
এই মামলার রায়দানকারী বিচারকদের অনেকেই সংবিধানের অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নির্বাহী ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকা এবং সংসদে আইন তৈরি ও সরকার পরিচালনার বিষয়টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের হাতে থাকার কারণে ক্ষমতার পৃথককরণ কার্যকর থাকছে না। রায়ে সাত বিচারকই অভিন্ন মত দেন যে ‘সংসদের যে দলটি আইন তৈরি করে, ঠিক তারাই কেবিনেট বা সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। তাই দুই স্তম্ভের মধ্যে কোনো ফারাক থাকে না। আর সেই একই গ্রুপ যদি বিচারকদের অপসারণ করতে বসে, তাহলে তারা একইভাবে অভিন্ন দলীয় সিদ্ধান্তে চালিত হবে। সুতরাং বিচার বিভাগের জন্য সংসদীয় অপসারণব্যবস্থাটা ভয়ংকর।’
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আদালতে সরকারের দেওয়া ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য (তদন্ত ও প্রমাণ) আইন’-এর খসড়া থেকে উদাহরণ দেন। তিনি দেখান যে ‘এই আইন পাস না হলেও সংসদের উদ্দেশ্য এতেই পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। কারণ এতে বিধান করা হয়েছিল যে স্পিকার কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তার প্রাথমিক সত্যতা নিরূপণের জন্য জাতীয় সংসদের মধ্য থেকে অনধিক ১০ সাংসদকে দিয়ে কমিটি করবেন।’ ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ের পর এই প্রাথমিক তদন্তের কাজটি এখন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি করবে বলে আচরণবিধিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, এর কপি পুস্তিকা আকারে সব বিচারকের কাছে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার ও কমনওয়েলথ সচিবালয়ের যৌথ উদ্যোগে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে প্রথিতযশা সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের এক মতবিনিময় সভা হয়। ওই সভায় অস্ট্রেলীয় সংবিধান বিশারদ স্যার কেনেথ ক্লিনটন হুয়েরের মতো অনেক সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে তাঁদের আপত্তি তুলেছিলেন বলে জানা যায়।
অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন আদালতে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্যপদ চলে যাওয়ার বিধান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘এ ধরনের বিধান থাকার ফলে একজন সংসদ সদস্য নিজেকে কতটা নিরপেক্ষ রাখতে পারেন এবং অভিসংশনের ক্ষমতা প্রয়োগের সময় দলীয় রাজনৈতিক নির্দেশনা থেকে মুক্ত রাখতে পারেন তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।’ ড. কামাল হোসেন মনে করেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে যেসব প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার দাবি রাখে।
প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে’ ৭০ অনুচ্ছেদের প্রয়োগকে ‘উচ্চমাত্রার রাজনীতিকীকরণের’ জায়গায় থেকেও দেখেছেন। মামলার শুনানির সময়ে আজমালুল হোসেন ছাড়া অন্য অ্যামিকাস কিউরিরা এই রাজনীতিকীকরণের ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রেখেছেন, সংবিধানে যদি ৭০ অনুচ্ছেদের মতো বিধান থাকে, সংসদ সদস্যদের যদি কেনাবেচার (হর্স ট্রেডিং) আশঙ্কা বাড়ে, তাহলে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের মতো গুরুভার কী করে তাঁরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করবেন বলে তাঁদের ওপর আস্থা রাখা যায়?’ সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, এই প্রশ্নের যৌক্তিকতা অস্বীকার করা যায় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মতিন খসরু বলেন, তার কোনো মন্তব্য নেই।
আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, পঞ্চদশ সংশোধনীতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হলেও প্রশ্ন থেকে গেছে যে একজন সাংসদ বিচারক অপসারণের ক্ষেত্রে কোন মাত্রা পর্যন্ত নিরপেক্ষ এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নিজেকে রাখতে পারবেন? রায়ে বলা হয়, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ যথার্থই যুক্তি দিয়েছেন যে এই অনুচ্ছেদ সংসদ সদস্যদের একটি ‘গোত্রভুক্ত’ করেছে। তাঁর সঙ্গে রোকন উদ্দিন মাহমুদও এই যুক্তি দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নির্বাহী ক্ষমতা এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রয়োগের আর সবকিছুই চলবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে। তাই এখানেই ‘তত্ত্বগত ক্ষমতার পৃথককরণ সম্পূর্ণরূপে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।’ কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হিসেবে যাঁরা সংসদে আইন তৈরি করেন, তাঁদেরই একটি অংশ মন্ত্রিসভায় থেকে সরকারের নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। সুতরাং আইন প্রণয়ন ও প্রশাসন পরিচালনা সংসদের একই গোষ্ঠীর ওপর বর্তায়, যেখানে সাংসদেরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
শুনানির সময় অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগ ৭০ অনুচ্ছেদের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর দাবি করা ভুল তিনি চিহ্নিত করেননি। হাইকোর্ট বিভাগ বলেছেন, ‘দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত যদি ভুল বা ত্রুটিপূর্ণও হয়ে থাকে, তাহলেও তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বা তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া কোনো সংসদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁরা তাঁদের দলের হাইকমান্ডের কাছে জিম্মি।’
প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি এবং ভারতীয় দুজন বিচারপতিকে অপসারণ উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারেন না যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ রেখে বাংলাদেশের একজন বিচারক শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের মতো একই প্রক্রিয়ায় অপসারিত হবেন না। গত ৪২ বছরে বাংলাদেশের যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ করে সংসদ যে বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় এগিয়েছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ কম যে কোনো ধরনের নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা তাদের পক্ষে বজায় রাখা সম্ভব হবে। আমাদের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এবং সংসদ সদস্যদের ওপর তার প্রভাবের কারণে এই সিদ্ধান্তই অনিবার্য হয়ে ওঠে যে যখন কোনো বিচারক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বিরাগভাজন হবেন, তখন এটিই প্রত্যাশিত যে তিনি সংসদ কর্তৃক অপসারিত হবেন। এই নতুন ব্যবস্থা স্বাধীন ও পক্ষপাতহীনভাবে কার্যকর হবে তা আশা করা যায় না।
বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা সংসদকে প্রকৃতপক্ষে সংবিধান কী ক্ষমতা দিয়েছে, তা চিহ্নিত করতে সংবিধানের ৬৫ থেকে ৭৯ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত পর্যালোচনা করেন। তিনিও বাংলাদেশের ‘চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে’ সংসদের হাতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা ন্যস্ত করার বিপদ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছেন। যেসব উন্নত দেশের সংসদের হাতে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা রয়েছে, সেখানেও দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারকের স্বাধীনতার প্রশ্ন চাপের সম্মুখীন, তা বোঝাতে তিনি একাধিক দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৭০ অনুচ্ছেদকে একটি ‘কঠোর বিধান’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, সংসদ সদস্যরা তাঁদের অভিসংশনের ক্ষমতা প্রয়োগ করার সময় কতটা পক্ষপাতহীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বিচারক অপসারণের প্রক্রিয়া পরীক্ষা করে দেখার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট দেখতে পান যে এসব দেশের বেশির ভাগ দেশে বিচারক অভিসংশনের প্রক্রিয়া প্রধানত দলীয় দৃষ্টিকোণ ও রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংস্কার সাধনের প্রস্তাব রেখেছেন। এতে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন দ্বারা বিচারকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের কথা বলা হয়েছে। আর ওই কমিশন বা কাউন্সিল বিচারকদের দ্বারা গঠনের কথা বলা হয়েছে। তিনি ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, এসব দেশের অভিজ্ঞতা পরিষ্কার করেছে যে সংসদীয় অভিসংশনের প্রক্রিয়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে উত্তরোত্তর দুর্বল করেছে।
বিচারপতি মির্জা হুসেইন হায়দার লিখেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ টিকে থাকবে, ততক্ষণ কোনো সংসদ সদস্যের অবাধে ভোটদানের স্বাধীন অভিপ্রায় থাকবে না।
বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী লিখেছেন, বিচারকদের সংসদের কাছে জবাবদিহি করানোর বিধান করার ফল হবে ভয়ংকর। অথচ ষোড়শ সংশোধনীর লক্ষ্য সেটাই প্রতীয়মান হয়। সরকরের লিখিত জবাবে ১৬ বার বিচারকদের জবাবদিহির কথা আছে। এর মধ্যে ৭ বার নির্দিষ্টভাবে সংসদের কাছে বিচারকদের জবাবদিহির উল্লেখ আছে। হতে পারে এটা ফ্রয়েডীয় ভুল!
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নির্বাহী ও আইনসভা কীভাবে বিচারকদের প্রতি নিষ্ঠুর ও কর্তৃত্বপরায়ণ ভূমিকা রেখেছে, তা তুলে ধরতে শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে, বলিভিয়া, সিঙ্গাপুর, গাম্বিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিজির উদাহরণ দিয়েছেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।