রেললাইনে দাঁড়িয়ে ভিডিও ধারণ করার সময় উলটো দিক থেকে আসা ট্রেনে কাটা পড়ে ইশতিয়াক আহমেদ রাফিদ (২০) নামে এক ফটোগ্রাফারের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রাফিদ রাজধানীর খিলক্ষেতে খালার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন আজগবি গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।
রেজাউল করিম পেশায় একজন যুব উন্নয়ন অফিসের কর্মকর্তা। তার একমাত্র ছেলে সন্তান রাফিদ। তার ছোট একটি বোন রয়েছে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
রাফিদের শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হন একাদশ শ্রেণিতে। এই কলেজে এইচএসসি পাস করে তিনি রাজশাহী কলেজে স্নাতকে ভর্তি হন। তিনি কলেজটির বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
রাফিদের খালাতো ভাই ঢাকার কুর্মিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, রাফিদ মোবাইল ফোনে টঙ্গী থেকে কমলপুরগামী একটি ট্রেনের ভিডিও ধারণ করছিলেন। সে তখন অন্য লাইনে ছিল।
কিন্তু এই লাইনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আরেক ট্রেনে কাটা পড়েন রাফিদ। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভাইয়া (রাফিদ) ভিডিও করার সময় আমাকে ট্রেনের খেয়াল রাখতে বলেছিলেন।
ভিডিও করার সময় ট্রেন চলে আসলে চিৎকার করে বলছি, কিন্তু সে শুনতে পায়নি। এরপর ট্রেনের নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হবে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাফিদের গ্রামের বাল্যবন্ধু ফাইয়াজ রহমান তনয় জানান, রাফিদ শখের বসে করা ফটোগ্রাফি থেকে পেয়েছেন পুরস্কারও।
‘আমার চোখে পথশিশু’ ক্যাটাগরিতে জুম বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ নভেম্বর পঞ্চম স্থান অর্জন করে তার ছবি।
তার মৃত্যুতে সহপাঠী ও বন্ধুরা আবেবগঘন পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।