ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
এবারের এসএসসির ফলে পাসের হারে এগিয়ে বরিশাল বোর্ডের আওতাধীন পিরোজপুর জেলা। এ জেলার পাসের হার ৬৫ দশমিক ৩৮ ভাগ। অপরদিকে এ বছরও ফলে সর্বোনিম্নে অবস্থান রয়েছে বরগুনা জেলা।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রথম স্থানে থাকা পিরোজপুর জেলায় ২৫৩টি স্কুলের ১০ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যারমধ্যে পাস করছেনে ৬ হাজার ৭৪৩ জন। পাসের মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৬০৯ জন ও মেয়ে ৪ হাজার ১৩৪ জন। এ জেলার পাসের হার ৬৫ দশমিক ৩৮ ভাগ।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বরিশাল জেলা। পাসের হার ৫৭ দশমিক ২০ ভাগ। এ জেলায় ৪৩১ টি বিদ্যালয়ের ২৬ হাজার ৩৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করছেনে ১৫ হাজার ৪১৫ জন। পাসের মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৯৮০ জন ও মেয়ে ৯ হাজার ৪৩৫ জন।
অপরদিকে পটুয়াখালী জেলা এবারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এবছরে এ জেলায় ২৭০টি বিদ্যালয়ের ১৫ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করছেনে ৮ হাজার ৭১২ জন। পাসের মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৬৫৮ জন ও মেয়ে ৫ হাজার ৫৪ জন। এ জেলার পাসের হার ৫৫ দশমিক ৭২ ভাগ।
ভোলা জেলা এবারে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এ জেলায় এবারে পাসের হার ৫৪ দশমিক ৭০ ভাগ । এ বছর এ জেলায় ২১৯ স্কুলের ১৪ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। মোট পাস করেছে ৭ হাজার ৮৬২ জন। যারমধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৬০৪ ও মেয়ে ৪ হাজার ২৫৮ জন।
অপরদিকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা। এ জেলায় ১৬৫ টি বিদ্যালয়ের ৮হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করছেনে ৪ হাজার ৪৩৭ জন। পাসের মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৩৩ জন ও মেয়ে ২ হাজার ৭০৪ জন। এ জেলার পাসের হার ৫০ দশমিক ৮৪ ভাগ।
এছাড়া সর্বোনিম্নে ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা ঝালকাঠি জেলায় এবারে পাসের হার ৫১ দশমিক ৭৭ ভাগ। এ জেলায় ১৭৩ টি বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করছেনে ৩ হাজার ৫৮৯ জন। পাসের মধ্যে ছেলে ১ হাজার ২৩৯ জন ও মেয়ে ২ হাজার ২৫০ জন।
এক পরিসংখ্যান রিপোর্টে জানা গেছে, এ বছর পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভাগের ছয় জেলার মোট এক হাজার ৪৯১টি বিদ্যালয় থেকে ৮৪ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ছাত্র ৩৯ হাজার ৫৪৮ জন এবং ছাত্রী ৪৫ হাজার ১৫৪ জন। আর মোট ১৯৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছিলো। এর মধ্যে পাস করেছে ৪৬ হাজার ৭৫৮ জন।
বিভাগে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে পিরোজপুর জেলা। প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে ফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএর হারে এগিয়ে। গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, বরিশালে এ বছর ফলাফলে এমন অবস্থার কারণ বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা যারা গ্রামে পড়াশোনা করেন তারা ইংরেজি ও গণিতে ফেল করেছেন। ফলে ফলের এমন অবস্থা। আমরা প্রতিটি জেলায় জেলায় শিক্ষকদের নিয়ে সমাবেশ শুরু করেছি। আশা করি দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যাবে। এছাড়া এ ফলাফলের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রকৃত মান উঠে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।