যমুনা অভিমুখে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের মিছিলে পুলিশের বাধা | বিবিধ নিউজ

যমুনা অভিমুখে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের মিছিলে পুলিশের বাধা

চার দফা দাবিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে রাস্তায় বসে পড়েন তারা।

#প্রধান উপদেষ্টা #যমুনা

চার দফা দাবিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে রাস্তায় বসে পড়েন তারা।

রোববার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার পরে যমুনার অভিমুখে মিছিল নিয়ে কাকরাইল মসজিদ সড়কে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এর আগে, গত ২৮ মে সকাল থেকে চার দফা দাবি নিয়ে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। অনশনে থাকা কয়েকজন কর্মী অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

তথ্য আপা প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মীরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছি। আর এক মাস পরে আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রায় দুই হাজার নারী একযোগে বেকার হয়ে যাব। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে এই প্রকল্পের অর্জন ৯০ শতাংশ করেছে তারাই আজকে ক্ষমতাহীন হওয়ার পথে। যে বৈষম্য বিলুপ্ত করার জন্য আমাদের ছেলেরা আন্দোলন করেছে আজ সেই বৈষম্য আমাদের সাথে করা হচ্ছে। আমরা তো কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করি না, আমরা সরকারের হয়ে কাজ করি। তাহলে কেন আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হবে না।

ফেনীর ফুলগাজী তথ্যসেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমরা অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে যোগ দিয়েছিলাম। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬ তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০ তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছি। আমরা তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছি। তাহলে কেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগপত্র অনুযায়ী বেতন না দিয়ে প্রকল্পের সাবেক পরিচালক মিনা পারভীন বেতন কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো লিখিতভাবে জানানো হয়নি।

তথ্য আপাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—প্রকল্পে কর্মরত সব জনবলকে সমগ্রেডে পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, যেহেতু রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য সময়ের প্রয়োজন তাই প্রয়োজনীয় সময় ৩-৫ বছর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সম্ভব না হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদের ভিত্তিতে সম গ্রেডে আত্তীকরণ এবং কর্তন করা বেতন ও ভাতা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা।

#প্রধান উপদেষ্টা #যমুনা