জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) টিএসসিতে দখলদারি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতয়ালি থানায় মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক।
মানহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন ইতিহাস বিভাগের ছাত্র শাহিন আলম, শিহাব প্রান্ত ও নিশু। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার কোতোয়ালি থানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির দোকান উচ্ছেদের ঘটনায় কয়েকজনের নামে মানহানির অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শাহিন মিয়া, শিহাব প্রান্ত ও মিশুসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রেরই দেয়া স্টল উচ্ছেদ করে সেখানে আরেকজনের দোকান বসাতে চেয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্র শিহাব প্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। প্রান্ত অভিযোগ করেন, তার কাছে চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় তার স্টল উচ্ছেদের অভিযোগ ওঠে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে যা কয়েকটি গণমাধ্যমে উঠে আসে।
এই বিষয়েই ভুক্তভোগী শিহাবের পক্ষে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন শাহিন আলম। তিনি লেখেন— শিহাব নিজেও ছাত্রদলের কর্মী। জুলাই আন্দোলনের একজন যোদ্ধা। কতটা নিচু মানসিকতার হলে একজন সিনিয়র, যার ছাত্রত্বই নেই, সে তার জুনিয়রের কাছে চাঁদা দাবি করে! রানিং ব্যাচের একজন শিক্ষার্থীর কাছে চাঁদা দাবি করে! ছাত্রদল ক্ষমতায় আসার আগেই যদি নিজের দলের কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি শুরু করে, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কতটা নিরাপদ এদের কাছে?
এ বিষয়ে শাহিন আলম বলেন, এই পোস্ট করার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ওমর ফারুক ভাই—যাকে আমি ভালো করে চিনিও না—আমার নামে থানায় মানহানির অভিযোগ দিয়েছেন। অথচ অভিযোগ দেয়ার কথা ছিলো শিহাবের, কারণ তার দোকানটাই তো উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। আমি ১০০ বার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলবো। যদি এজন্য আমার ফাঁসি হয়, সেটাও মাথা পেতে মেনে নেবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি প্রমাণ না করতে পারে, তবে অভিযোগ তোলা শাহিনসহ সবার বিরুদ্ধে মামলা করবো। যাকে আমি চিনিও না তার কাছ থেকে কখন, কিভাবে চাঁদা চাইলাম। ওই মেয়েকেও প্রমাণ দিতে হবে তার কাছ থেকে কখন চাঁদা চাইলাম। এখন শুধুমাত্র অভিযোগ দেয়া রয়েছে, যদি তারা প্রমাণ না করতে পারে তখন আমি মামলার দিকে যাব। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র শাহীন না যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হবে।