শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ | স্কুল নিউজ

শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ

‘শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে কিছু চাচ্ছেন না, এটা সামষ্টিক দাবি। শিক্ষকদের এই দাবি যৌক্তিক। কিন্তু ক্লাসের সময় কর্মবিরতি গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়ম অনুযায়ী, তারা এটা করতে পারেন না। তারা ক্লাসের সময় ক্লাস নিক। অন্য সময়গুলোয় তারা কর্মসূচি করলে কারো কোনো আপত্তি নেই।’

#প্রাথমিক বিদ্যালয় #শিক্ষক #কর্মবিরতি

ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকমছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম

দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি কর্মসূচি সফলভাবে পালন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে দেশের কোনো কোনো জায়গায় কর্মবিরতি পালনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৬ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো একঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে শিক্ষক নেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন না করার জন্য শিক্ষা অফিস থেকে চাপ আসছে শিক্ষকদের ওপর।

বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের নেতারা বলেন, ‘কর্মবিরতি করলে ঢাকার বকশীবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরো একজন সহকারী শিক্ষককে শোকজ করতে চেয়েছেন লালবাগ থানার শিক্ষা কর্মকর্তা।’

এই বিষয়ে লালবাগ থানার শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ জেসমিন আক্তার বানু বলেন, ‘শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে কিছু চাচ্ছেন না, এটা সামষ্টিক দাবি। শিক্ষকদের এই দাবি যৌক্তিক। কিন্তু ক্লাসের সময় কর্মবিরতি গ্রহণযোগ্য নয়।

নিয়ম অনুযায়ী, তারা এটা করতে পারেন না। তারা ক্লাসের সময় ক্লাস নিক। অন্য সময়গুলোয় তারা কর্মসূচি করলে কারো কোনো আপত্তি নেই।’

শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনে নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ

তিনি আরো বলেন, ‘লালবাগ থানার কোনো স্কুলে কর্মবিরতি হচ্ছে না। শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে আমার বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। অফিসিয়াল কারণেই তাদের সঙ্গে আমার অনেক রকম কথা হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১১তম গ্রেডে যোগদান, চাকরি জীবনের ১০ম ও ১৬তম বছরে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো একঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

একই সঙ্গে, শিক্ষকদের দাবি পূরণের বিষয়ে সরকার কর্তৃক গঠিত ‘কনসালটেশন কমিটি’র সুপারিশ ‘সামান্য সংশোধন’ করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকমছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম

শিক্ষক নেতারা জানান, সরকার কর্তৃক গঠিত ‘কনসালটেশন কমিটি’র সুপারিশে শিক্ষক পদে নিয়োগে ১২তম গ্রেড, চার বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১১তম গ্রেডের সঙ্গে দায়িত্ব ভাতা এবং প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেডে বেতনের কথা বলা হয়েছে।

তবে শিক্ষকরা শুধু একটি বিষয়ে সংশোধনী চেয়েছেন। তারা চার বছরের শর্তটি তুলে দিয়ে এন্ট্রি পদে সরাসরি ১১তম গ্রেডে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

মূলত, এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষকরা ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি, ১৫ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি এবং ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।

এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে, আগামী ২৬ মে থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ।

#প্রাথমিক বিদ্যালয় #শিক্ষক #কর্মবিরতি