বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব জহুর হোসেন চৌধুরী হল রুমে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণে অন্তরায় ও সমসাময়িক সংকট নিরসন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৫ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এবং সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীরনগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ সভাপতি ও উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি ভিপি ইব্রাহিম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো.মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নীতি নির্ধারণী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
স্বাগত বক্তব্যে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি।
দাবিগুলো হলো-
>> বেতন বৈষম্য নিরসন: সহকারী শিক্ষক ১১তম গ্রেড ও অবিলম্বে ৬৫,৫২৪ জন প্রধান শিক্ষককের ১০ গ্রেডের জিও জারি করতে হবে।
>> সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে প্রধান শিক্ষকপদে ১০০ ভাগ পদোন্নতি, চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ হইতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করতে হবে।
>> ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে শর্তহীনভাবে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়ন করতে হবে।
>> বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয় ষড়যন্ত্রমূলক সরকারি ভূমি অধিগ্রহণ হতে মুক্ত করতে হবে।
>> অবিলম্বে ৯ম পে স্কেল ঘোষণা করতে হবে।
এ সময় ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৩ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
১৪ জুলাই মহাপরিচালক ও সচিবর মাধ্যমে ৭৩/২০২৩ পদোন্নতির মামলা সমাধান পূর্বক চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ হতে একই স্মারকে পদোন্নতি প্রদান।
১৪ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সাথে দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপনের জন্য সাক্ষাৎ।
২৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সকাল ১০টা থেকে ৫ দফা দাবিতে আমরণ অনশন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন মোল্লা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আলম নাশরাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু নাছের আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোছা. সালমা ও মার্জিয়া পুষ্পসহ প্রমুখ।