সারাদেশে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তবে বরিশালে এ কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষক নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষক নেতাদের একাংশ এই কর্মসূচি পালন করছেন আবার আরেকটি বড় অংশ পালন করছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে বেশিরভাগ স্কুলে ক্লাস স্বাভাবিকভাবে চলছে। শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়েছেন, শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রেশনধারী ছয় সংগঠনের মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য জোটের ডাকে বরিশালেও এ কর্মসূচি চলার কথা ছিলো।
যারা কর্মবিরতি পালন করেছেন না তারা বলছেন, সরকারি আচরণবিধির কারণে কর্মবিরতি পালন করছেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষক নেতাদের একাংশ বলছেন কর্মবিরতি চলছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় বানিমন্দির সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, যথা নিয়মেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছে। কয়েকজন শিক্ষক বসে আড্ডা দিচ্ছেন শিক্ষক মিলনায়তনে। একই চিত্র দেখা যায় কাউনিয়া এলাকার আদর্শ পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
আলাপকালে বানিমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমাজ বরিশাল মহানগরের সভাপতি সাব্বির খান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে আমরাও একমত। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি না। বিশেষ করে আমার স্কুলে প্রথম দিন থেকেই কর্মবিরতি হচ্ছে না। এর বাইরে অন্যান্য স্কুলেও জোরালোভাবে কর্মবিরতি পালন হচ্ছে না। অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবেই এ কর্মসূচি চলছে যোগ করেন তিনি। একই কথা জানিয়েছেন আদর্শ পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
তবে বরিশালেও কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি ও ঐক্য জোট নেতা জহিরুল ইসলাম জাফর। তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, উন্নয়নশীল সব দেশে শিক্ষকদের বেতন গ্রেড একটা সন্মানজনক স্থানে প্রতিয়মান থাকলেও বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যের মধ্যে রয়েছে। আমি ২৫ বছর যাবং সহকারী শিক্ষকের একই পদে কর্মরত আছি, পদোন্নতি পাচ্ছি না। আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ একথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে সাংগঠনিক অধিকারের জায়গা থেকে জানিয়ে আসছি। তাতে কোনো প্রতিকার পাইনি।
এর আগে সোমবার থেকে সারাদেশে এন্ট্রি পদ ধরে ১১ গ্রেড এ সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সমস্যা ও প্রধান শিক্ষকের পদে শতভাগ পদোন্নতি দেয়ার দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেন সারাদেশের শিক্ষকরা।
তাদের এই তিন দফার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে আরো দুইটি দাবি। দাবি দুটি হলো- মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিশুদের বৈষম্য নিরসনে সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় শিশু ব্যাতীত অন্য কোনো কমিউনিটির বিদ্যালয়ের শিশুরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এবং অপরটি হলো- শিশুদের পাঠদান সময় বাড়ে সে জন্য শুক্রবার শনিবার ছুটি বহাল রেখে প্রাথমিক শিক্ষকদের ভ্যাকেশন থেকে নন ভ্যাকেশনে উন্নিত করা।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।