স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন, বোর্ড অব স্ট্রস্টিজের চেয়ারম্যানসহ কয়েক সদস্যের অপসারণ দাবিতে রাজধানীর প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা ইউজিসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থী আগারগাঁওয়ের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ের সামনে এস জড়ো হয়েছেন। এ সময় তারা দাবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
পরে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করেন। বৈঠকে চেয়ারম্যান জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটির প্রধান বিদেশে থাকায় তদন্তে দেরি হচ্ছে। তবে তিনি দেশে ফিরলেই দ্রুত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এক সময়ের স্বনামধন্য প্রাইম এশিয়া বর্তমানে চরম সংকটে। একদিকে অবৈধ বোর্ড অব স্ট্রস্টিজের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে দুর্নীতির মহোৎসব, অন্যদিকে তথাকথিত উপদেষ্টা রেবেকা সুলতানা ও রাষ্ট্রপতির ছেলে আরশাদ আদনানের ষড়যন্ত্র-এগুলো শিক্ষার পরিবেশকে চূড়ান্ত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নজরুল ইসলাম, রেবেকা সুলতানা এবং আরশাদ আদনানকে অবিলম্বে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম থেকে অপসারণ। পূর্বাচলের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে দ্রুত স্থানান্তর নিশ্চিত করা। স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখা। দুর্নীতিপ্রবণ এবং শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারী সব দোসরদের অপসারণ।
এ ছাড়া বোর্ড স্ট্রাস্টিজের সদস্য নজরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উল্লেখ করেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে নজরুল ইসলাম ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স থেকে প্রায় ৮১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়ে নজরুল তার ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার করেছেন। প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে অপসারণ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের একমাত্র দাবি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত করা। স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন এবং রেবেকা-নজরুল চক্রের অপসারণ ছাড়া আমরা আমাদের সংগ্রাম থামবে না। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার আনাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত রোববারও একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বনানীর কাকলিতে সড়ক অবরোধ করেছিলেন।
তখন তারা বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে নেয়ার কথা বলে এখনো নেয়া হচ্ছে না। আমাদের দুটি ডিপার্টমেন্ট একটি ডিসেম্বরের মধ্যে ওখানে শিফট করার কথা, কিন্তু এখন তিনশ ফিটে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে ট্রাস্টি বোর্ড। প্রতি মাসে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা তাদের গাড়ির খরচ বাবদ ৬৫ হাজার টাকা নেন, এগুলোতো আমাদের টাকা। দীর্ঘদিন আমাদের সিনিয়ররা স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এ লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন, কিন্তু তারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। এ ছাড়া ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এই টাকা পুনরুদ্ধার চাই।