কড়া রোদে স্কুল মাঠে বেসরকারি বৃত্তি পরীক্ষা, অভিভাবকদের ক্ষোভ | পরীক্ষা নিউজ

কড়া রোদে স্কুল মাঠে বেসরকারি বৃত্তি পরীক্ষা, অভিভাবকদের ক্ষোভ

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয় জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে। শুরুতে তারা ওই বিদ্যালয়ের হলরুম ব্যবহারের জন্য আবেদন করেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিলে আয়োজকরা পাশের দক্ষিণ জুঁইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি নেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগের রাতেই (৯ জুন) সেই অনুমতিও বাতিল করা হয়।

#বৃত্তি #শিক্ষাবৃত্তি #বৃত্তি পরীক্ষা #শিক্ষার্থী

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ১১ নম্বর জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ জুঁইদণ্ডীতে বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। হল রুমের অনুমতি না পাওয়ায় খোলা মাঠে প্রচণ্ড রোদে বসে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা।

এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। শিশুদের উৎসাহ বাড়ানোর বদলে এমন দুর্ভোগ তাদের পড়ালেখার প্রতি অনাগ্রহ বাড়াবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয় জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে। শুরুতে তারা ওই বিদ্যালয়ের হলরুম ব্যবহারের জন্য আবেদন করেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দিলে আয়োজকরা পাশের দক্ষিণ জুঁইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি নেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগের রাতেই (৯ জুন) সেই অনুমতিও বাতিল করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত ১১টার দিকে কক্ষে নতুন করে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ফলে আয়োজকরা নিরুপায় হয়ে খোলা মাঠেই পরীক্ষার আয়োজন করেন।

এ বিষয়ে জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক বলেন, দক্ষিণ জুঁইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুল চলাকালীন পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলো। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি আনতে বলি।

দক্ষিণ জুঁইদণ্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, জে কে এস উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা বলছে, তা সত্য নয়। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগই হয়নি। কাউকে আমি চিনি না। তা ছাড়া অনুমতির বিষয়টি একমাত্র শিক্ষা অফিসার দিতে পারেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফেরদৌস হোসেন বলেন, বিষয়টি শুরুতে আমার জানা ছিল না। পরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি। সাধারণত ব্যক্তিগতভাবে আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষার জন্য বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ব্যবহারে যথাযথ অনুমতি নিতে হয়। বিশেষ করে স্কুল চলাকালীন হলে তা আরও স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন না ঘটাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে সংযত থাকতে পারে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্কুলের মাঠে তো নিয়মিত খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এমনকি রাজনৈতিক সভাও হয়। অথচ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এমন বাধা কেনো?

পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী জানায়, রোদে বসে পরীক্ষা দিতে খুব কষ্ট হয়েছে। মাথা ঘুরছিলো। যদি ক্লাসরুমে পরীক্ষা দিতে পারতাম, অনেক ভালো হতো।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#বৃত্তি #শিক্ষাবৃত্তি #বৃত্তি পরীক্ষা #শিক্ষার্থী