ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছাত্রদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা। এ দাবি না মানলে এবং ঈদের পর ২ কর্ম দিবসের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ইউআইইউসহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশিনের (ইউজিসি) ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা।
গত মঙ্গলবার ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ ঘোষণা দেন তারা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই চিঠির মাধ্যমে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জানাতে চাই।
ছবি : দৈনিক শিক্ষাডটকম
ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা গত প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক আন্দোলন করে আসছেন। অথচ এসব ন্যায্য দাবির জবাবে ইউআইইউ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের হয়রানি করে, হুমকি দেয় এবং সর্বশেষ ২ জুন মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। আমরা, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, এই অন্যায় বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা জানাচ্ছি।
ইউজিসির দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। অথচ, শিক্ষার্থীরা একাধিকবার ইউজিসিতে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালেও, আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই বহিষ্কারের বিষয়ে কঠোরভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া শুধু ইউআইইউ নয়, বরং দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই গভীর উদ্বেগের বিষয়।
শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান হলো, বহিষ্কার আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ইউআইইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদের ছুটির পরবর্তী দুই কর্মদিবসের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইউজিসি কার্যালয়ে ঘেরাও, অনশন কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, এই অবস্থার জন্য তখন সম্পূর্ণ দায়ভার ইউজিসি ও ইউনাইটেড গ্রুপের ওপর বর্তাবে। কারণ সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার দায় শিক্ষার্থীরা নেবে না। আমরা চাই না দেশের শিক্ষাঙ্গনে আর কোনো শিক্ষার্থী অন্যায়ের শিকার হোক। তাই অনতিবিলম্বে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোরালোভাবে অনুরোধ করছি।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।