অনুমতি ছাড়াই ইবি ভিসির কার্যালয়ের সামনে সিসি ক্যামেরা বসালেন প্রো-ভিসি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অনুমতি ছাড়াই ইবি ভিসির কার্যালয়ের সামনে সিসি ক্যামেরা বসালেন প্রো-ভিসি

জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রো-ভিসির কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য আইসিটি সেলে নোট পাঠান প্রো-ভিসি। পরে কাজ শুরু করতে দেরি করায় আইসিটি সেলের ইলিয়াস জোয়ার্দারের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার 'ইউনিক কম্পিউটার' নামক প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ করতে নির্দেশ দেন তিনি।

#ইবি #ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় #সিসি ক্যামেরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসির কার্যালয়ের সামনে অনুমতি ছাড়াই সিসি ক্যামেরা বসানো অভিযোগ উঠেছে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ভিসির কার্যালয়ের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেন তিনি। পরে ভিসির অনুমতি ছাড়াই এ কাজ করায় ভিসির নির্দেশনায় ক্যামেরা খুলতে বাধ্য হন কর্মচারীরা।

তবে বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে দাবি করেছেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রো-ভিসির কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য আইসিটি সেলে নোট পাঠান প্রো-ভিসি। পরে কাজ শুরু করতে দেরি করায় আইসিটি সেলের ইলিয়াস জোয়ার্দারের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার 'ইউনিক কম্পিউটার' নামক প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ করতে নির্দেশ দেন তিনি।

সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজে নিয়োজিত কর্মচারী তুষার বলেন, ‘প্রো-ভিসি স্যার আমাকে বলেছিলো যে, ভিসি স্যারের ওই জায়গায় অনেক ঝামেলা হয়। আমি অফিস থেকে যেতে দেরি হয়। এ জন্য মাঝে মাঝে রাগারাগি করে। তুমি ওই জায়গায় একটা ক্যামেরা দিয়ে দাও।' পরে আমি ক্যামেরা লাগিয়ে প্রোভিসির স্যারের অফিসে ক্যামেরাগুলোর কানেকশন করে চলে আসি।’

ক্যামেরা খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা লাগানোর বিষয়ে ভিসি স্যার ডেকে নিয়ে রাগারাগি করেন। ক্যামেরা খুলে ফেলতে বলেন। পরে স্যারের কার্যালয়ের সামনের ক্যামেরা খুলে ফেলেছি।’

এ বিষয়ে উপাচার্যের পিএস গোলাম মাহফুজ মঞ্জুর বলেন, 'আমি ঢাকায় থাকায় এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। প্রক্টর স্যার ভালো বলতে পারবেন।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান আলী বলেন, 'প্রো-ভিসি স্যার অনেকদিন আগে আমাদেরকে ফাইল পাঠিয়েছিল। ওই ফাইল এখনও চলমান আছে। তারপরে ভিসি স্যার সিসি ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে আর একটা বিষয় আমি শুনেছি, প্রো-ভিসি স্যারও ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। সে বিষয়ে আমিও কনফার্ম না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, প্রোভিসি স্যার তার কার্যালয়ে ক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে ভিসি স্যারের কার্যালয়ের সামনে একটা ক্যামেরা লাগানো হয়। ভিসি স্যার বিষয়টি জানতে পারলে তা খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন,'যারা কাজ করেছে তারা বুঝতে ভুল করেছে। আমি তাদের বলেছি তিন তলার সিঁড়িতে একটা লাগাতে যেটার কানেকশন থাকবে আমার রুমে। আর ভিসি স্যারের রুমের সামনের ক্যামেরার কানেকশন থাকবে ভিসি স্যারের রুমে।'

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#ইবি #ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় #সিসি ক্যামেরা