শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বানর অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বানর অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট হয়েছে, কিছু সংস্কারের প্রত্যাশা রয়েছে এবং কিছু করণীয় আছে যেগুলো তারা খুব সহজেই করতে পারে। যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। এই অর্থবছরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ করে তারা জনগণের স্বার্থে সংস্কারের কিছু নমুনার সূচনা করতে পারে।

#আনু মুহাম্মদ #শিক্ষা #স্বাস্থ্য

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বিশ্বের সব দেশের চেয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে নিচে বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

এই দুই খাতে আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন তিনি।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট হয়েছে, কিছু সংস্কারের প্রত্যাশা রয়েছে এবং কিছু করণীয় আছে যেগুলো তারা খুব সহজেই করতে পারে।

যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। এই অর্থবছরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ করে তারা জনগণের স্বার্থে সংস্কারের কিছু নমুনার সূচনা করতে পারে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: কেমন বাজেট চাই?’ আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার পারে পরিমাণগত বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত মানকেও বৃদ্ধি করতে। বরাদ্দকৃত অর্থে অপ্রয়োজনীয় খরচ ও প্রকল্প, অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দুর্নীতি আছে। এগুলো দূর করতে হলে পূর্ণাঙ্গ বাজেট খরচের খাতসহ জনগণের সামনে উন্মুক্ত করতে হবে।

একটা সংস্কার খুব সহজ ছিলো যে প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টা প্রতিনিধি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সবার শিক্ষা ও চিকিৎসা পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বাধ্যতামূলক করা, তাহলেই পাবলিক শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের চেহারা বদলে যেতো।

বাজেটের আগে এই ধরনের ঘোষণা হলে বরাদ্দের গুণগত পরিবর্তন হওয়া খুবই সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারের আরেকটা কাজ হচ্ছে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি।

জাতীয় সক্ষমতার ভিত্তিতে একটি দেশকে অগ্রসর হতে হবে। বিগত সরকার বাহাদুরি করে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে স্যাটেলাইট কিনলো, এটি করে তো কোনো দেশ অগ্রসর হতে পারে না।

তার চাইতে এর একাংশ টাকা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞানে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের গবেষণায় ব্যয় করতো তাহলে জাতীয় সক্ষমতা নিশ্চিত হতো।

অর্থবছর (জুলাই–জুন) পরিবর্তন করার পক্ষে মত দেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বাংলা বছর অথবা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর অর্থবছর করা প্রয়োজন। কারণ, বর্তমান অর্থবছরের শেষ দিকে বৃষ্টি থাকে, উন্নয়নকাজে অর্থের অপচয় হয়, কাজ ঠিকমতো হয় না।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মাহা মির্জা, কল্লোল মোস্তফা, হারুন উর রশীদ, মোশাহিদা সুলতানা, মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, সজীব তানভীর, মারজিয়া প্রভা, কৌশিক আহমেদ ও সালমান সিদ্দিকী।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মাহা মির্জা, কল্লোল মোস্তফা, হারুন উর রশীদ, মোশাহিদা সুলতানা, মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, সজীব তানভীর, মারজিয়া প্রভা, কৌশিক আহমেদ ও সালমান সিদ্দিকী।

#আনু মুহাম্মদ #শিক্ষা #স্বাস্থ্য