১৬ মার্চের মধ্যে সব শ্রেণির বই দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার এনসিটিবি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
এ সময় এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, আমরা আশাবাদী ১৬ মার্চের মধ্যে সব শ্রেণির বই দিতে পারবো। কিছু প্রেস রয়েছে সিক, তারা কথা শুনতে চায় না। এজন্যই এতো দেরি বই দিতে। একটি প্রেসের বাইন্ডিং হাউজে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরো বলেন, এবার বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম ব্যর্থ করতে সুচতুর চক্রান্ত করা হচ্ছে এবং সেটি চলমান রয়েছে৷ এই চক্রান্ত কারা করছে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। বিগত ১৫ বছরে কোন সময়ে সব বই দেয়া শেষ হয়েছে সেই পরিসংখ্যান আমাদের কাছে আছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এনসিটিবি সচিব শাহ্ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস, পাঠ্যপুস্তক সদস্য প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরী, শিক্ষাক্রম সদস্য প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর ও ছাপাখানার প্রতিনিধিরা, কাগজ আমদানিকারকেরা।
এ ছাড়াও প্রেস ব্রিফিংয়ে বিভিন্ন ছাপাখানার মালিক ও আমদানিকারকদের প্রতিনিধিরাও কাগজ কেনার কার্যক্রম স্পষ্ট করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রসঙ্গত, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ও ডেইলি ক্যাম্পাস সম্প্রতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, চলতি বছর পাঠ্যবই ছাপায় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মিলত না। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কিনতে হবে তা নির্ধারণ করে দিত এনসিটিবি। যা এর আগে কখনও হয়নি। অভিযোগ আছে, এর নেপথ্যে ছিলেন এনসিটিবির সচিব, একজন সদস্য ও সাজ্জাদুর রহমান ওরফে রাখাল রাহা। তাদের পেছনে থেকে কাজ করেছেন তানভীর নামের এক ছাত্র-সমন্বয়ক। সর্বশেষ চীন থেকে সাড়ে আট হাজার টন কাগজ আমদানি করে এনসিটিবি। বাজারে এক লাখ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় কাগজ পাওয়া গেলেও মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জিম্মি করে টনপ্রতি দাম নেওয়া হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা করে।
ওই প্রতিবেদনকে ভুয়া বলে উল্লেখ্য করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা পোস্ট, ডেইলি ক্যাম্পাস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এমন নিউজ করেছে। কারণ আমরা কাগজই কিনেছি ১০০ কোটি টাকার। এখানে কেমন করে ৪০০ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।