মহানবীকে (সা:) কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক মিলন কান্তির শাস্তি দাবি | স্কুল নিউজ

মহানবীকে (সা:) কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক মিলন কান্তির শাস্তি দাবি

‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটিতে মিলন কান্তি দাস নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

#স্কুল #শিক্ষক

মিলন কান্তি ছবি: সংগৃহীতমিলন কান্তি ছবি: সংগৃহীত

‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটিতে মিলন কান্তি দাস নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। মিছিলকারীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন মিলন কান্তির। তার এমপিও স্থগিতেরও দাবি জানান।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে নলছিটি পৌর ইসলামী যুব আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।মহানবীকে (সা:) কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক মিলন কান্তির শাস্তি দাবি

অভিযোগ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে গত ১৩ মে ক্লাস চলাকালীন নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মিলন কান্তি দাস কটূক্তিকর বক্তব্য দেন। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এবং ২১ মে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে মিলন কান্তি দাসকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।মহানবীকে (সা:) কটূক্তির অভিযোগে শিক্ষক মিলন কান্তির শাস্তি দাবি

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিলন কান্তি দাস জানান, আমি কোনো কটূক্তি করিনি। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে করা হয়ে থাকতে পারে।

এদিকে, মঙ্গলবার ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে বিক্ষোভকারীরা নলছিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সভায় বক্তব্য দেন নলছিটি পৌর যুব আন্দোলনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা ওহিদুল ইসলাম সোহাগ এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন পৌর শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ।

তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, তদন্তে গাফিলতি হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার আজিম বলেন, আমরা অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তদন্ত শেষে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শিক্ষকতা ছাড়াও মিলন কান্তি অনেক শিক্ষাবহির্ভুত কাজে যুক্ত যেটা এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অনিয়ম। তার অনেক সহকর্মী বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ দিয়েছে। তাকে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাওয়া যায় না। তবুও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শ্রেষ্ঠ শিক্ষককের তকমা নেন বছরের পর বছর। এসব বিষয়ে তার অনেক সহকর্মী তার ওপর ক্ষুব্ধ থাকতে পারে। এছাড়া মিলন কান্তিসহ স্কুলটির অনেক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে যেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের তদন্তে প্রমাণিত। স্কুলটির অধিকাংম শিক্ষকই কুখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর দালালি করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মিছিলকারীরা।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান আকন্দ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার বিরুদ্ধেও আমুর দালালি করার অভিযোগ রয়েছে।

#স্কুল #শিক্ষক