এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা

প্রার্থীরা বলছেন, চেয়ারম্যান ফ্যাসিস্টের দোসর, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ফেল করিয়েছেন।

#এনটিআরসিএ #আন্দোলন #পদত্যাগ #এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান #ফেল

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের প্রকাশিত ফলে অসংগতিসহ অন্যান্য অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেল করা প্রার্থীরা। একইসঙ্গে তারা এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের পদত্যাগের জোর দাবি জানিয়েছেন। প্রার্থীরা বলছেন, চেয়ারম্যান ফ্যাসিস্টের দোসর, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের ফেল করিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসব দাবি জানান অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা।

ফেল করাদের এমন আন্দোলনের মধ্যে গত সোমবার প্রকাশিত ফলে সংশোধন আনা হয়েছে। সংশোধিত ফলে দেখা গেছে, ৬০ হাজার ৬৩৪ জন পাস করেছেন। ১১৩ জন প্রার্থী নতুন পাস করেছেন।

পাসের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা দাবি করছেন, গত ২৩ মার্চ ভাইভায় অনুপস্থিত প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিলো। কারিগরি ত্রুটির কারণে সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত ফলের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। তাই এবার মার্চের ফল যুক্ত করে আবার প্রকাশ করা হলো।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা

তবে, এমন যুক্তি মানতে নারাজ ফেল করা প্রার্থীরা। তাদের দাবি গত ১০ জুন এনটিআসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মফিজুর রহমানের যশোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন অনেকে। তাদের মধ্য থেকে অনেককে পাস করানো হয়েছে। তাদের মনে আরো প্রশ্ন। এসব প্রশ্ন নিয়ে তারা এনটিআরসিএতে যাবেন। রাজপথেও রয়েছেন গত তিনদিন ধরে।

এর আগে গত ১৪ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা। একইসঙ্গে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে গত তিনদিন ধরে মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।

প্রার্থীরা জানান, যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। আমরা যারা ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ভাইভায় কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে। আবার অনেক বোর্ড আছে যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে, তিনজনকে পাস করানো হয়েছে। অনেক বোর্ড আছে ২৫ জনকে ফেল করানো হয়েছে ৫ জনকে পাস করানো হয়েছে। একই বোর্ডে এত ফেল করানোর যৌক্তিকতা যাচাই করে দেখা দরকার। বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#এনটিআরসিএ #আন্দোলন #পদত্যাগ #এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান #ফেল