‘চাকরি খেয়ে দেয়ার মতো বিধান সমর্থনযোগ্য নয়’ | বিবিধ নিউজ

‘চাকরি খেয়ে দেয়ার মতো বিধান সমর্থনযোগ্য নয়’

কর্মচারী নেতারা বলেন, শান্ত সচিবালয়কে অশান্ত করার জন্য বিশেষ কিছু কর্মকর্তা সরকারি চাকরি আইনে বিশেষ বিধান সংযোজনে কাজে হাত দিয়েছে। তারা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করছে।

#চাকরি #সচিবালয় #সরকারি চাকরি

সরকারি চাকরি আইনে বিশেষ বিধান এবং সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে কর্মরত নন-ক্যাডার কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধির বিরুদ্ধে গুরুতর আপত্তি জানিয়ে কর্মচারী নেতারা বলেছেন, চাকরি খেয়ে দেয়ার মতো বিধান সমর্থনযোগ্য নয়। সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে কর্মচারীদের সব সংগঠন আজ এই ইস্যুতে বৈঠক করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবে বলে জানিয়েছে তারা।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কর্মচারীরা নবম পে-কমিশন গঠন, মহার্ঘভাতা, কর্মচারীদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও পদনাম পরিবর্তনের দাবি জানান। ওইসব বিতর্কিত আইন ও বিধি প্রণয়নের চেষ্টা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন কর্মচারী নেতারা।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কো-চেয়ারম্যন মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক, যা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও স্বীকার করেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান চাই। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করব, কোনো সভা-সমাবেশ নয়। আশা করি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাই বুঝতে পারেন।

কর্মচারী নেতারা বলেন, শান্ত সচিবালয়কে অশান্ত করার জন্য বিশেষ কিছু কর্মকর্তা সরকারি চাকরি আইনে বিশেষ বিধান সংযোজনে কাজে হাত দিয়েছে। তারা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়নের সময় ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের বিশেষ বিধান বাতিল করা হয়। বিশেষ বিধান বাতিল হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে। বাতিল হওয়া বিশেষ বিধান আবার কী করে চাকরি আইনে সন্নিবেশন করা হচ্ছে।

‘বিশেষ বিধান কর্মচারীর জন্য ক্ষতিকর এবং অকল্যাণকর বলেই তো দেশের সর্বোচ্চ আদালত তা বাতিল করেছিলেন। কার স্বার্থে এ ধরনের একটি বিধান পুনঃপ্রবর্তনের কাজে প্রশাসন হাত দিয়েছে তা আমাদের কাছে অস্পষ্ট’-বলেন এই কর্মচারী নেতা।

কর্মচারীরা মনে করছে, সরকার তাদের দাবিয়ে রাখার জন্য এ ধরনের আইন প্রণয়ন করছে। কর্মচারীরা যাতে তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো পেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের কণ্ঠ রোধের প্রয়াসে এ আইন সংশোধন হচ্ছে। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। তারা আরও বলেন, সরকার কাউকে ৮ দিনে চাকরি দিতে পারেনি। তাই ৮ দিনে চাকরি খাওয়ার বিধান করার কোনো সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনের সংশোধন হতেই পারে। কিন্তু একেবারে চাকরি খেয়ে দেয়ার মতো বিধান সমর্থনযোগ্য নয়।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#চাকরি #সচিবালয় #সরকারি চাকরি