চার বিসিএস নিয়ে যেসব পরিকল্পনা জানালো পিএসসি | বিসিএস নিউজ

চার বিসিএস নিয়ে যেসব পরিকল্পনা জানালো পিএসসি

পিএসসি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চলমান বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে ভিত্তিহীন এবং খণ্ডিত তথ্য সরবরাহ করছে, যা বিসিএস পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

#বিসিএস #পিএসসি

চার বিসিএস নিয়ে সৃষ্ট জট নিরসনে নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এসব বিসিএস নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিত্তিহীন এবং খণ্ডিত তথ্য প্রকাশের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে থাকা বিভ্রান্তি দূর করার জন্য এ সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করলো পিএসসি।

একবই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম বিসিএস নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবোর্চ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পিএসসি জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চলমান বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে ভিত্তিহীন এবং খণ্ডিত তথ্য সরবরাহ করছে, যা বিসিএস পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের মধ্যে থাকা এসব বিভ্রান্তি দূর করার লক্ষ্যে এ তথ্য উপস্থাপন করছে। ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়গুলো আগামী ৮-১৯ মে মধ্যে এবং পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্ভাব্য জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে ৭ জুলাইর মধ্যে শেষ হবে।

২২ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে এবং স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাগুলো ১৬ জুনের পরে দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হবে। স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাগুলোর পরিবর্তিত শিডিউল অতিসত্বর জানিয়ে দেয়া হবে। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল জুনের মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফলাফল জুনের মধ্যে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা পূর্ব-ঘোষিত ২৭ জুনের পরিবর্তে ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

বিসিএস ৪৪তম, ৪৫তম এবং ৪৬তম নিয়ে সৃষ্ট জট নিরসন করতে সব বিসিএস প্রার্থীদের উদ্বেগ বিবেচনায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান জট সমাধানের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবোর্চ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য অপরিহার্য কিছু বিষয় যেমন প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনায় কমিশনকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সময়ে-সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো জানার জন্য প্রার্থীদের কমিশনের ওয়েবসাইটে নিয়মিত দৃষ্টি রাখা এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) দেয়া তথ্যকে একমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র হিসাবে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

#বিসিএস #পিএসসি