চারু ও কারুকলা এবং গ্রন্থাগারিক ও তথ্য বিজ্ঞানে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

চারু ও কারুকলা এবং গ্রন্থাগারিক ও তথ্য বিজ্ঞানে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি

ঢাকার আমেনা আক্তার বলেন, আমি গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের ভাইভা দিতে এসেছি। আমাকে প্রশ্ন করেছে তথ্য বিপ্লব কী? তথ্যকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং আপনাকে যদি লাইব্রেরিতে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আপনি কীভাবে চালাবেন?

#ভাইভা #শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষক

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের পঞ্চম ধাপের ভাইভা চলছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এমপিও শিক্ষক পদে চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রতিদিনই মুখোমুখি হচ্ছেন ভাইভা বোর্ডের। কী প্রশ্ন করা হচ্ছে তাদের, তারাই বা কী উত্তর দিচ্ছেন। তাদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই সহায়ক হবে ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের।

তাই শিক্ষাবিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার এই বিশেষ আয়োজন। ভাইভা বোর্ড থেকে বের হওয়া প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সাবিহা সুমি।

চারু ও কারুকলা এবং গ্রন্থাগারিক ও তথ্য বিজ্ঞানে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি

নাজমুস সাকিব, ময়মনসিংহ

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে। আমি গ্রন্থাগার ও তত্ত্ব বিজ্ঞান বিষয়ে ভাইভা দিয়েছি। আমাকে প্রথমেই প্রশ্ন করা হয়েছে, গ্রন্থাগার আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য কী? তারপর জিজ্ঞেস করলো গ্রন্থাগার কত প্রকার? তারপর প্রশ্ন করেছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগার কোনটি? এ ছাড়া আরো কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছে।

কামরুল হোসেন, গাইবান্ধা

চারুকলার ভাইভায় অংশ নিয়েছি, ভাইভা বোর্ড আন্তরিক ছিলো। প্রথমে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কামরুল হাসানকে চিনি কি না? তিন জন চিত্রশিল্পীর নাম জিজ্ঞেস করেছেন। আমাকে গরুর চিত্র আঁকতে দিয়েছেন। ধন্যবাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে। দৈনিক শিক্ষার ভিডিয়ো দেখে আমি উপকৃত হয়েছি।

আবুল হোসাইন, টাঙ্গাইল

ভাইভা বোর্ড অনেক আন্তরিক ছিলো। আমাকে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেসা করেছে। আমি সবগুলোর উত্তর দিতে পেরেছি। দৈনিক শিক্ষাডটকম বহুল পরিচিত একটি শিক্ষাবিষয়ক ডিজিটাল পত্রিকা। এটি আমি নিয়মিত পড়ি। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে ধন্যবাদ।

মাহমুদা আক্তার নিরা, শেরপুর

ভাইভা বোর্ডের স্যারেরা অনেক আন্তরিক ছিলো। প্রবেশ করার পর কাগজপত্রগুলো দেখে নিলেন। আমাকে তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিলো। আমার ভাইভা ভালো হয়েছে।

সুমন শিকদার, পটুয়াখালী

আমার ভাইভার অভিজ্ঞতা ভালো। আমাকে বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার ভূ-রাজনীতি ক্লাসিফিকেশন করে দেখাতে বলা হয়েছে। নতুনদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, পড়াশোনায় লেগে থাকতে হবে। ধন্যবাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে।

পলাশ শেখ, সাতক্ষীরা

চারুকলার ভাইভায় বোর্ড আন্তরিক ছিলো। আমাকে জয়নাল আবেদীন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশীয় শিল্পীদের নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়েছে। সর্বপরি আমার ভাইভা ভালো হয়েছে।

আমেনা আক্তার, ঢাকা

আমি গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের ভাইভা দিতে এসেছি। আমাকে প্রশ্ন করেছে তথ্য বিপ্লব কী? তথ্যকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং আপনাকে যদি লাইব্রেরিতে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে আপনি কীভাবে চালাবেন?

পাপিয়া জাহান, ময়মনসিংহ

আমাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করছে আমি পড়াশোনা করেছি কোন বিষয় নিয়ে। অনার্সের বিষয় বলার পরে বললাম গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে আমি এক বছরের ডিপ্লোমা করেছি। তারপর এনটিআরসিএর বাংলা রূপ জানতে চেয়েছে। তারপর আমাকে দৈনিক আমাদের বার্তা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছে এটা তথ্যের কোন উৎস? প্রাথমিক, মাধ্যমিক না টারশিয়ারি?

জমির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

গ্রন্থাগারিক এবং তথ্য বিজ্ঞানের আমার ভাইভা ভালো হয়েছে। আমাকে তিনটা প্রশ্ন করেছিলো, লাইব্রেরি কত প্রকার এবং কী কী? সিএএস এর পূর্ণরূপ কী? দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে অনেক ধন্যবাদ। দৈনিক শিক্ষা ডটকম থেকে আমি কনফিডেন্স পেয়েছি মৌখিক পরীক্ষার জন্য।

কৃষ্ণা সরকার

ডিডিসির চারটি সিডিউলের লাস্ট সিডিউল কোনটি? রিলেটিভ ইনডেক্স এটাতে কী হয়? ওপেক কী? মার্ক ক্যাটালগ কী? এ সব প্রশ্ন আমাকে করা হয়েছে।

ভাইভার ৭০তম দিনে মোট দশটি বোর্ডে দুই ব্যাচে অংশ নেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন স্কুল পর্যায়ের চারু ও কারুকলা এবং গ্রন্থাগারিক ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা ছিলো। প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৯টায় ও দ্বিতীয় ব্যাচের পরীক্ষা বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়।

গতকাল রোববার ৩২৪০০৯১২৫ থেকে ৩২৬০০৩৬১২ রোল নম্বরধারীদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নেন। ৭০তম দিনে মোট ৬০০ জন প্রার্থীর ভাইভা নেয়া হয়। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে পঞ্চম ধাপের এই ভাইভা শুরু হয়েছে। এ ধাপের ভাইভা চলবে আজ ১৩ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত।

আজ সোমবার ৩২৬০০৩৬১৪ থেকে ৩২৭০০২৯৬৬ রোল নম্বরধারীদের মধ্যে ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি থেকে চতুর্থ ধাপের এই ভাইভা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ২৩ জানুয়ারি।

এর আগে তৃতীয় ধাপের ভাইভা পরীক্ষা ৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। ১৪ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়, যা শেষ হয়েছে ৪ ডিসেম্বর।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর প্রথম ধাপের ভাইভা শুরু হয় এবং ১৩ নভেম্বর প্রথম ধাপের ভাইভা শেষ হয়। পর্যায়ক্রমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী ভাইভায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। ভাইভায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীকে অবশ্যই সব শিক্ষা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ ও লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। যেহেতু এবার ভাইভার জন্য আলাদা প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি, তাই লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রই মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে মৌখিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানানো হয়। গত ১৪ অক্টোবর অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। গড় পাসের হার ছিলো ২৪ শতাংশ।

তার আগে গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে গড় পাসের হার ছিলো ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে মোট পাস করেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী। গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

#ভাইভা #শিক্ষক নিবন্ধন #শিক্ষক