ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি

রাবি উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে দায়িত্ব পাওয়ার পর ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উনার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাকসুর তফসিল ঘোষণার জন্য রাকসু আন্দোলন মঞ্চ থেকে জোর দাবি জানান তারা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ও রোডম্যাপ ঘোষণা চলতি মাসের মধ্যেই করার দাবি জানিয়েছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভলেপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ খান বলেন, জুলাই ২৪ আন্দোলনের নেপথ্যে থাকা শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের চাওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন কার্যকর করা। রাকসু আন্দোলন মঞ্চ দীর্ঘদিন রাবিতে রাকসুর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।

রাবি উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে দায়িত্ব পাওয়ার পর ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উনার ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাকসুর তফসিল ঘোষণার জন্য রাকসু আন্দোলন মঞ্চ থেকে জোর দাবি জানান তারা।

বারবার সময় দিয়েও কেনো রাকসু হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সজীব বলেন, ক্ষমতাসীন দল সবসময়ই অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিদের সামনে আসতে দিতে চায় না। ফলে তারা চায় না রাকসুর মতো মঞ্চ কার্যকর হোক।

২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানের পর সময়টা পরিবর্তন হয়েছে। আর আমরা মনে করি উপাচার্য স্যারকে আলাদা করে বলার কিছু নাই। রাকসু নির্বাচন দেওয়ার জন্যে তিনি দায়বদ্ধ। এ সময় এসে রাকসু সচল করা না হলে ২৪-এর ধারণা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান জানান, যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চর্চা সমুন্নত রাখতে চায় তাদের রাকসুর বিরোধিতা করার নৈতিক অধিকার নাই। আওয়ামী লীগ সরকার থাকা অবস্থায় আমরা বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন ঐক্যমতে পৌঁছেছিলাম যে রাকসু হতে হবে। আমাদের অনেক জায়গায় দ্বিমত থাকলেও এই বিষয়টায় আমরা সবাই একমত।

আমানুল্লাহ খান আরো বলেন, রাকসু আমাদের কোনো দাবি নয়, এটা একটা আইন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিভাবে চলবে ১৯৭৩-এর আইনে সেটা বর্ণনা করা আছে।

রাকসু হওয়া বা না হওয়া কারো চাওয়া বা না চাওয়ার ওপর নির্ভর করছে না। তাই ৭৩-এর আইন বাস্তবায়ন করতে হলে রাকসু নির্বাচন দিতেই হবে।

এছাড়াও এসময় রাকসু কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত রাকসু আন্দোলন মঞ্চ তাদের কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার আমরা বুদ্ধিজীবী চত্বরে রাকসু বিষয়ক একটি কর্মশালা আয়োজন করব। এর আগে আমরা প্রতিটি হলের প্রত্যেক কক্ষে রাকসুর তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করব। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমরা রাকসুর দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেই থাকব।