ভারতে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও ছাত্রীর ফি কমালো না স্কুল | ভারতের শিক্ষা নিউজ

ভারতে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও ছাত্রীর ফি কমালো না স্কুল

টাকাপয়সার অভাবে পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর। প্রায় ১৮ হাজার টাকা স্কুল ফি বকেয়া রয়েছে। যে কারণে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

#ছাত্রী #স্কুল

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়েছে। এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে বিঁধেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি।

টাকাপয়সার অভাবে পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর। প্রায় ১৮ হাজার টাকা স্কুল ফি বকেয়া রয়েছে। যে কারণে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু তাতেও কাজ হল না! যোগীর কথাতেও কান দিলেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। বকেয়া ফি মকুবের কথা বলতেই ওই কিশোরীকে মুখে উপর তাঁরা বলে দিলেন, ‘‘হবে না।’’

গোরক্ষপুরের পক্কীবাগের সরস্বতী শিশু মন্দির স্কুলে পড়ে পঙ্খুড়ী ত্রিপাঠি। আরএসএস পরিচালিত সেই স্কুলে মাসে ১,৬৫০ টাকা করে ফি দিতে হয়। কর্মহীন হয়ে পড়ায় গত কয়েক মাস সেই টাকা দিতে পারেননি পঙ্খুড়ীর বাবা। এখন স্কুল থেকে সেই বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। ওই পরিস্থিতিতে মেয়েকে নিয়ে যোগীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা।

পঙ্খুড়ীর বাবা জানান, গত ১ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী ‘জনতা দরবারে’ গিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের কথা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আধিকারিকদের বিষয়টি দেখে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পঙ্খুড়ীর পড়াশোনা যাতে কোনও ভাবেই বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এর পর যখন তিনি মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা শুনতেই চাননি। উল্টে তাঁদের অপমান করা হয়েছে।

পঙ্খু়ড়ী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। উনি আমাকে চকোলেট দিয়েছেন। আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আমার কোনও অসুবিধা হবে না। আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারব। কিন্তু যখন বাবাকে নিয়ে স্কুলে গেলাম, ওরা বলে দিল, ফি মকুব করা হবে না।

ওরা বলেছে, ‘এ ভাবে যদি সকলের ফি মকুব করা হয়, তা হলে স্কুল চলবে কী করে?’ আমাদের অপমান করা হয়েছে। আমার বাবার সঙ্গে কখনও কেউ এ ভাবে কথা বলেনি। আমার বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে দেবেন না। আমি আইএএস অফিসার হতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী তা নষ্ট হতে দেবেন না।’’

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়েছে। এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে বিঁধেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। দলের নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘‘বিজেপির কাছে আমাদের অনুরোধ, বাচ্চাদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেবেন না।’’ এই বিতর্কে রাজ্যের স্কুল শিক্ষ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শীঘ্রই ইতিবাচক কোনও উত্তর মিলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

#ছাত্রী #স্কুল