শিক্ষকের মার*ধরে স্কুলছাত্র হাসপাতালে | স্কুল নিউজ

শিক্ষকের মার*ধরে স্কুলছাত্র হাসপাতালে

মারধরের বিষয়ে স্কুলছাত্র বাপ্পী বলেন, দুপুরে সাজু স্যারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যাই। এ সময় স্যার কোনো কিছু না বলেই আমার পিঠে কিল-ঘুষি মারেন। ঘাড় চেপে ধরে ধাক্কা দিলে খাটের সঙ্গে লেগে আমার নাক ও ডান চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমাকে বলেন তোকে আর পড়তে হবে না। এরপরই আমি বাড়িতে চলে এসেছি।

#স্কুল #শিক্ষক

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বাপ্পী (১১) নামের এক চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেট শিক্ষক সাজুর বিরুদ্ধে। আহত স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের হানুরবারাদি গ্রামে শিক্ষক সাজুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে স্কুলছাত্র বাপ্পীর চোখের নিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আহত বাপ্পী সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের হানুরবারাদি গ্রামের মাঠপাড়ার মুকুল হোসেনের ছেলে এবং হানুরবারাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

মারধরের বিষয়ে স্কুলছাত্র বাপ্পী বলেন, দুপুরে সাজু স্যারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যাই। এ সময় স্যার কোনো কিছু না বলেই আমার পিঠে কিল-ঘুষি মারেন। ঘাড় চেপে ধরে ধাক্কা দিলে খাটের সঙ্গে লেগে আমার নাক ও ডান চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমাকে বলেন তোকে আর পড়তে হবে না। এরপরই আমি বাড়িতে চলে এসেছি।

বাপ্পীর দাদা আবদার আলী বলেন, দুপুরে সাইকেলে করে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে নাতি। এ সময় তার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তার পরনের জামা রক্তে লাল হয়ে গেছে। এরপর জামা পরিবর্তন করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এমন করে একজন পিতাও মারধর করেন না। আমরা এই শিক্ষকের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহবুবা মুস্তারি মৌ বলেন, শিশুটির চোখের নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে। এছাড়া নাকে আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে শিশুটি শঙ্কামুক্ত।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাজু বলেন, বাপ্পী অতিরিক্ত দুষ্টুমি করেছিল। এছাড়া পড়া না পারার কারণে সামান্য মেরেছি। গলা ধরে সামান্য ধাক্কা দিলে সে পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

#স্কুল #শিক্ষক