এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নের প্যাকেট খুলে পাওয়া যায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন। এরপর দ্রুত থানা থেকে সঠিক প্রশ্নপত্রের প্যাকেট পরীক্ষার হলে সরবরাহের ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ফলে ২৫ মিনিট পরে শুরু হয় পরীক্ষা।
গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কুড়িগ্রামের রাজারহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র এই ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।
বলা হয়েছে, ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষার দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. নিয়াম উদ্দিন প্রশ্নপত্র সংগ্রহের পর কেন্দ্রের সবার সামনে প্যাকেট খোলেন। তখন দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্রের বদলে সেখানে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন কেন্দ্র সচিব। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করে নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের প্যাকেট থানা থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই ঘটনার জন্য পরীক্ষা ২৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয় এবং অতিরিক্ত ২৫ মিনিট পর পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
এই ভুলের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাজারহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ এপ্রিল থানাতেই প্রশ্নপত্র শর্টিং করা হয়। এসময় ভুলক্রমে বিষয় কোড নম্বর ১০৭ (ইংরেজি প্রথম পত্র) এর প্যাকেটে বিষয় কোড নম্বর ১০৮ (ইংরেজি ২য়পত্র) এর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রাখা হয়েছিলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ‘সেট ১’ ভুলক্রমে খোলা হলেও, প্রশ্নপত্রের ‘সেট ৩’ অক্ষত অবস্থায় রাজারহাট থানায় যথাযথভাবে সংরক্ষিত ছিলো।
পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই বিষয়ে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)-এর সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার, কেন্দ্র সচিব ও কেন্দ্র কমিটির সব সদস্যকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।