নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্টার্টআপস নেক্সট (এনএসইউএসএন) ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) যৌথ সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডিজিটাল ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিত্তি নির্মাণে ‘উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ইঞ্জিন: এনএসইউএসএন অ্যান্ড বিএইচটিপিএ’ নামে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ইনকিউবেশন প্ল্যাটফর্ম এনএসইউএসএনর সঙ্গে এ যৌথ সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এ সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সামনে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশকে ত্বরান্বিত করা কর্মসূচির ধারণা—যেটি একটি জাতীয় স্টার্টআপ অ্যাকসেলারেশন প্রোগ্রাম, পরিচালিত হচ্ছে বিএইচটিপিএ এবং এর অংশীদারদের মাধ্যমে। এই প্রোগ্রাম তরুণ উদ্ভাবকদের মেন্টরশিপ, অর্থায়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য সহায়তা করে।
আলোচনায় উঠে আসে এনএসইউতে এবং বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তাবাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শিক্ষার্থীরা কীভাবে অ্যাক্সিলারেটিং বাংলাদেশ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারে, সরকারি ও একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশীদারিত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এবং কীভাবে শিক্ষাঙ্গনে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়—এসব নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
এই আয়োজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাংলাদেশের উদ্ভাবন রোডম্যাপে নেতৃত্বদানকারী চিন্তাবিদদের উপস্থিতি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সেক্রেটারি ড. মোখলেস উর রহমান এবং বিএইচটিপিএর প্রজেক্ট ডিরেক্টর মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতির ভবিষ্যৎ তরুণ উদ্ভাবকদের হাতেই। বিএইচটিপিএ হিসেবে আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে উদ্যোক্তা প্রতিভা বিকশিত হতে পারে এবং টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি হয়।
তরুণ উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক ও একাডেমিয়ার জন্য এই আয়োজন ছিল একটি সময়োপযোগী বার্তা— যে কোলাবোরেশনই পারে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।