সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজকে সতর্ক করে ৯ শর্ত মানার নির্দেশ | কলেজ নিউজ

সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজকে সতর্ক করে ৯ শর্ত মানার নির্দেশ

এবার নতুন করে অভিযোগ উঠেছে বড় আর্থিক অনিয়মের। একই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীরাদের দুর্ব্যবহার, কোচিং বাণিজ্যসহ আরো অনেক অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

#কলেজ #সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ

মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা । ছবি : সংগৃহীতমো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা । ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ভুড়ি-ভুড়ি। ভর্তি বাণিজ্য, বাধ্যতামূলক কোচিং, অতিরিক্ত ফি আদায় করে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। এবার নতুন করে অভিযোগ উঠেছে বড় আর্থিক অনিয়মের। একই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীরাদের দুর্ব্যবহার, কোচিং বাণিজ্যসহ আরো অনেক অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে ৯ শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

সম্প্রতি বোর্ড থেকে অধ্যক্ষকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা যায়, অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত কমিটির মন্তব্য ও সুপারিশ প্রেক্ষিতে, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত ১১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ জমিতে নিজস্ব স্থাপনায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের ৩৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬০ জন এমপিওভুক্ত এবং বাকি ২৯০ জনের বেতন প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে বহন করা হয়। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ শর্ত মানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে।

শর্তগুলো হলো, অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিভাবকদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করতে হবে। কোনোভাবেই অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা যাবে না এবং যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড প্রণিত ভর্তি নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ফি, সেশন চার্জ ও অনৈতিকভাবে ছাত্র-ছত্রছাত্রিদের বেতন বৃদ্ধি করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অডিট সম্পন্ন করে রিপোর্ট বোর্ডে দাখিল করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধিমালা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করতে হবে। অ্যাডহক কমিটির নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা নেই বিধায় সঠিক প্রক্রিয়ায় গভর্নিং বডি গঠনের পর নিয়োগ কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সব প্রকার লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। ম্যনুয়াল রশিদ গ্রহণ করা হবে না। অ্যাডহক কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত ১০ জন শিক্ষকের বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে বহন করতে হবে বলে কমিটির রেজুলেশনে উল্লেখসহ নিয়োগপত্রে শর্ত দেয়া আছে। এতে সরকারের কোনো আর্থিক ক্ষতি হবেনা।

নিয়োগকৃত ১০ জন শিক্ষক সরকারের কাছে ভবিষ্যতে এমপিও আবেদন করবেনা বলে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ অনুসরণ করতে হবে।

এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সালাউদ্দিন আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ১৫ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দেয়।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#কলেজ #সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ