শেকৃবিতে ফেসবুক পোস্টের কমেন্টকে কেন্দ্র করে সং*ঘর্ষ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

শেকৃবিতে ফেসবুক পোস্টের কমেন্টকে কেন্দ্র করে সং*ঘর্ষ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে ২১ ও ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

#বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রদল #শিক্ষার্থী

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে ২১ ও ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম ত্বোহা ফেসবুকে বিজয় ২৪ হলের ক্যান্টিন পরিচালনা করতে নিজ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী একটি প্রস্তাবনা দেন। তার পোস্টের কমেন্টে ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান হৃদয় শুধুমাত্র এক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ক্যান্টিন পরিচালনার বিরোধিতা করেন। এ বিষয়টি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়, যা একপর্যায়ে সরাসরি কথোপকথনে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় রূপ নেয়।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহবুর, ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মারুফের গায়ে হাত তোলেন। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় হলের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট বলেন, ইফতারের আগে ২১ ও ২২তম ব্যাচের সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ২২তম ব্যাচের যে ছেলে ক্যান্টিনের খাবারে মান নিয়ে মন্তব্য করেছে, তার মন্তব্যে সাথে খাবারের মানের কোন সম্পর্ক নেই। সে আমার সাথে আলোচনা না করেই নিজে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চেয়ে ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছে। তবে বর্তমানে যে ক্যান্টিন চালাচ্ছে খুব সুন্দর ভাবেই চালাচ্ছে এবং খাবারের মান বেশ ভালো আছে।

ইফতারের আগে সংঘর্ষে ঘটনায় শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের ইন্ধন আছে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কিছু শিক্ষার্থী রাত ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কিছু শিক্ষার্থী বলেন, ৫ আগস্টের পরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু, শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিএম আলমগীর কবির ৫ আগস্টে আবাসিক হল দখলের মাধ্যমে (যার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে আপনাদের কাছে আছে) এবং পরবর্তীতে দখলদারিত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে ব্যাহত করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে তার অনুগত ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন পাণ্ডাদের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে আজকে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে স্থিতিশীল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করেছে। যার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাকে ও তার অনুগত পাণ্ডাদের প্রতিহত করেছি।

#বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রদল #শিক্ষার্থী