ফরিদপুরের সালথায় বাবার ওপর অভিমান করে সামিউল ইসলাম (১২) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। নিহত সামিউল উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়-খারদিয়া এলাকার মেহেদি হাসানের বড় ছেলে এবং বড়-খারদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
গতকাল সোমবার (২৩ জুন) রাতে নিজের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটান সামিউল।
সামিউলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে সামিউল ইসলাম তার বাবা মেহেদী হাসানের কাছে পরীক্ষা দেয়ার জন্য একটি ক্লিপবোর্ড চায়। মেহেদী হাসান সন্ধ্যার পর ক্লিপবোর্ড কিনে দেবে বলে জানায়। এই ক্ষোভে বাবার ওপর অভিমান করে সামিউল রাত ৮টার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। সামিউলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে মা ডাক-চিৎকার দিলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, ক্লিপবোর্ড কিনে দিতে দেরি হওয়ায় বাবার ওপর অভিমান করে সামিউল নামের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।