শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। তিনি বলেছেন, শ্রেণিকক্ষে কেবল স্মার্ট বোর্ড স্থাপন করাই যথেষ্ট নয়, সরকার স্মার্ট ক্লাসরুম বাস্তবায়ন করবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ে বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির মিলনায়তনে 'বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষা উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত প্রচেষ্টা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, "শুধু বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষা উন্নয়নেই নয়, শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে আমাদের সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।"
স্মার্ট ক্লাসরুমের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি আরও বলেন, "শ্রেণিকক্ষে শুধু স্মার্ট বোর্ড বসালে স্মার্ট ক্লাসরুম হবে না। সরকার এমন স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করবে, যেখানে শিক্ষকরা দূর থেকেও, এমনকি লন্ডন থেকেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে পারবেন।"
এর মাধ্যমে শিক্ষাদানের পদ্ধতি আরও আধুনিক ও সহজলভ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জামিল চৌধুরী। সভায় বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষার উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বক্তারা মনে করেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব।
সিদ্দিক জোবায়ের বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষা উন্নয়নে বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমির ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার আলো থেকে কোনো মেয়ে যেন বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর।
সভায় অন্যান্য বক্তারাও বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব এবং এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তারা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, যাতে পিছিয়ে পড়া মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ লাভ করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ফিমেল একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে দিরাই অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আলোচনা সভায় একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা বঞ্চিত মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।