শ্রেণিকক্ষে স্মার্ট টিভি বা ইন্টারেক্টিভ প্যানেল বসানোর সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।
বিশ্বের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে ক্লাস নেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে অধ্যাপক মামুন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেখেন আমাদের মন্ত্রণালয় কি নিয়ে ব্যস্ত। শ্রেণিকক্ষে স্মার্ট টিভি বা ইন্টারেক্টিভ প্যানেল কি আমাদের প্রায়োরিটির লিস্টে থাকার কথা?
আমি যেখানে ব্ল্যাকবোর্ডে চকে ক্লাস নেওয়ার কথা বলি, যেখানে বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ব্ল্যাকবোর্ডে চকে ক্লাস নেয় সেখানে আমাদের মতো দেশে স্মার্ট টিভি বা ইন্টারেক্টিভ প্যানেল দেওয়ার কথা চিন্তা করা কোন লেভেলের (...)?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, স্কুলের যেই ইনফ্রাস্ট্রাকচার, তাতে এইটা রাখার জায়গাইতো নেই। তারপর এটা চালানোর জন্য লোকবল দিতে পারবে?
নষ্ট হলে মেরামত বা প্রতিস্থাপিত করতে কত দিন লাগবে? কোন কোম্পানির কোন মডেলের কিনবে? প্রজেক্টের মেয়াদ পার হয়ে গেলে কি হবে? এরপর ছেলেমেয়েরা ব্ল্যাক বোর্ড চকে ফিরে যেতে পারবে?
তিনি আরও বলেন, এর আগেও স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুমের প্রজেক্ট ছিল। তাতে কি লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পেয়েছিল? ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্লাস কি পাওয়ার পয়েন্ট ও মাল্টিমিডিয়ায় দেওয়া উচিত? এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও না। লেখাপড়ায় চমক ভালো না।
ঢাবি অধ্যাপক বলেন, এই যে মানুষকে চমকপ্রদ করার প্রজেক্ট আমাদের সরকাররা দুইদিন পর পর নেয়, তারা কি জানে না সবার আগে শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি সবচেয়ে জরুরি।সবার আগে শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করে মেধাবীদের এই পেশায় আনার প্রজেক্ট নেওয়া জরুরি। এদিকে কোনওদিন মন্ত্রণালয়কে কোন উদ্যোগ নিতে দেখি না।