হাওর, দ্বীপ ও চরাঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা পাওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
এখন থেকে নিজ উপজেলায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরাও এই ভাতা পাবেন। আগে স্থায়ী বাসিন্দা নিজ উপজেলায় কর্মরত থাকলে এই ভাতা দেয়া হতো না।
সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. ফেরদৌস আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হাওড়-চর এলাকার একটা ভাতা পেতেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আগে একটা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো, যারা স্থানীয় তারা পাবেন না এই ভাতা। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। এাবর তা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন স্থানীয়রা পাবেন।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হাওড়-দ্বীপ-চর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিজ উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন ভাতা না পাওয়ার পূর্বশর্তটিও বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাওড় ও চরাঞ্চলগুলো হলো: কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজীবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ভোলার মনপুরা, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের প্রায় ২৫টি উপজেলায় বিস্তৃত হাওড়, চর এবং দ্বীপ এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক পাঠানো এবং ধরে রাখাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ ভাতা চালুর ফলে এসব অঞ্চলের শিক্ষার মানোন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।