শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর তাকে বিষণ্ন মনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে দেখা যায়।
সোমবার (১০ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরো পড়ুন: বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আমিনুলের পদত্যাগ
সরেজমিনে দেখা যায়, মন্ত্রণালয়ের রীতি অনুযায়ী কোনও উপদেষ্টা বা মন্ত্রী পদত্যাগ বা দায়িত্ব হস্তান্তর করলে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। কিন্তু ড. এম আমিনুলের বিদায় ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। মন্ত্রণালয়ে তার শেষ মুহূর্তে শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, তার পিএস এমনকি তার দপ্তরের কোনও কর্মকর্তাও বিদায় জানাতে আসেননি। এককথায় অনেকটা নিভৃতে বিদায় নিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে কথা বলেন। তিনি বিষণ্ন মনে সর্বস্বান্তের মতো মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হলেও তার কাছে কোনও ফাইল যেত না। অনেকটা হাজিরা দেয়ার মতো রোল প্লে করতেন তিনি। নামকাওয়াস্তে তার এই পদ তাকে ব্যথিত করেছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে আক্ষেপও করেছেন। এসব কারণেই তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
আরো পড়ুন: অধ্যাপক আমিনুলকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, দাবি রাশেদ খানের
আরেকটি সূত্র বলছে, তিনি ভেবেছিলেন তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হবে। কিন্তু তাকে সেই দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এটা তার জন্য একটা অপমান। এই কষ্ট থেকে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরারকে যেদিন মন্ত্রণালয়ে বরণ করা হয় সেদিনও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
পদত্যাগের পর প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পদত্যাগ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাচ্ছি না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
সরকারের চাপ বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। আমি আমার পিএসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
পদত্যাগ করে বড় কোনও দায়িত্ব নিচ্ছেন কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়েও আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি পদত্যাগ করলেও কোনও না কোনোভাবে শিক্ষার সঙ্গে থাকব।