শিক্ষা ও গবেষণায় অর্থ ব্যয় করা হলো আসল উন্নতির চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির দিকে নজর দিলে মুসলমানরা সম্মানের সঙ্গে ভালো থাকতো।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে অধ্যাপক মামুন এ কথা বলেন।
অধ্যাপক মামুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে বাজিমাত করে ফেলেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছে। আমেরিকার এই অস্ত্র কোম্পানিগুলোর মালিক কারা নিশ্চই জানেন। আর ৬০০ বিলিয়ন ডলার মানে বাংলাদেশের রিজার্ভের ৩০ গুণ। অর্থাৎ ৩০টা বাংলাদেশের রিজার্ভ যোগ করলে যা হয় তা দিয়ে সৌদি আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে। এখানেই শেষ না। এর চেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি হলো ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি এবং দেশগুলো ধীরে ধীরে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিবে। আর ট্রাম্পের কাতার সফরে ৯৬ বিলিয়ন ডলারে ২১০টি বিমান কেনার ডিল হয়েছে বোয়িং ও জেনারেল ইলেক্ট্রিক এর সাথে। এইসব ডিল যখন হচ্ছে তখন গাজায় প্রতিদিন ২০-৫০ জন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। বিনিময়ে সৌদি, কাতার আমিরাত কি পাচ্ছে? ওখানে আরব স্প্রিং বাতাস দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত না করার প্রচ্ছন্ন প্রতিশ্রুতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, একবার ভাবুন এই অর্থ যদি শিক্ষা ও গবেষণায় মধ্যপ্রাচ্য যদি ব্যয় করতো তাহলে শিক্ষা ও গবেষণায় তারা দ্রুত আমেরিকার বিকল্প হওয়ার চেষ্টা করতে পারতো। এইটাই হতো তাদের আসল উন্নতির চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, ট্রাম্পকে পাগল ভাবতাম। এখন দেখি ও হলো আসল খেলোয়াড়। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মাঝে খেলে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ডিলও করে ফেলছে। ট্রেড যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে সেখান থেকেও লাভবান হচ্ছে। অথচ মধ্যপ্রাচ্য যদি জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির দিকে নজর দিত তাহলেই মুসলমানরা সম্মানের সাথে ভালো থাকতো এবং এতে বিশ্ব শান্তি পেত।